২০২৪-২৫ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যক্তিশ্রেণির বার্ষিক করমুক্ত আয়সীমা বাড়েনি। অর্থাৎ আগের অর্থবছরের আয়করমুক্ত সীমা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা রাখা হয়েছে। তবে রাজস্ব বৃদ্ধিতে সর্বোচ্চ আয়ের কর সীমা ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেল জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন।
করমুক্ত আয়কর সীমার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিদ্যমান স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতা, ফার্ম ও হিন্দু অবিভক্ত পরিবারের করমুক্ত আয়ের সীমা অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করছি। একই সঙ্গে স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতা, ফার্ম ও হিন্দু অবিভক্ত পরিবারের জন্য কর ধাপ সমন্বয়পূর্বক বিদ্যমান সর্বোচ্চ করহার ২৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৩০ শতাংশে নির্ধারণের প্রস্তাব করছি।
এখন ৫, ১০, ১৫, ২০ ও ২৫ শতাংশ করহারের পর উচ্চস্তরে আরেকটি করহার এসেছে। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, বর্তমানে ব্যক্তির আয়ের প্রথম সাড়ে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয় করমুক্ত। পরবর্তী ১ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর ৫ শতাংশ, পরবর্তী ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর ১০ শতাংশ, পরবর্তী ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ, পরবর্তী ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর ২০ শতাংশ, ২০ লাখ টাকার ওপরে ২৫ এবং অবশিষ্ট আয়ের ওপর ৩০ শতাংশ হারে কর আরোপ করা হচ্ছে।
বর্তমানে নারী করদাতা এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা ৪ লাখ টাকা, প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের করদাতাদের ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের করদাতাদের করমুক্ত সীমা ৫ লাখ টাকা। আগামী অর্থবছরের জন্যও নারী, প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গ এবং গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের করমুক্ত আয় সীমা একই রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে কোনো প্রতিবন্ধীর পিতা-মাতা বা আইনানুগ অভিভাবকের ক্ষেত্রে প্রত্যেক সন্তান বা পোষ্যের জন্য করমুক্ত আয়সীমা ৫০ হাজার টাকার বেশি করার কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী।
