শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ১১ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার দায়িত্বে বড় রদবদল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিএসইসির সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) নিজামউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে ইডিদের জানানো হয়েছে। যা রোববার (৬ অক্টোবর) থেকে কার্যকর হবে।
চিঠিতে বলা হয়, নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল ইসলামকে ইস্যুয়ার কোম্পানি অ্যাফেয়ার্সের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এরআগে তিনি বাজার মধ্যস্থতাকারী বিভাগ ও ইস্যুয়ার কোম্পানি অ্যাফেয়ার্সের দায়িত্বে ছিলেন।
নির্বাহী পরিচালক আশরাফুল ইসলামকে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্বের সাথে আর এ্যান্ড ডি বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
নির্বাহী পরিচালক হাসান মাহমুদকে ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিভাগে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এরআগে তিনি ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট ও এনফোর্সমেন্ট বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন।
নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলমকে বিএসইসির করপোরেট ফাইন্যান্স বিভাগ থেকে সরিয়ে বাজার মধ্যস্থতাকারী বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আর মাহবুবুর রহমান চৌধুরীকে আগের মতোই আইন বিভাগের দায়িত্বে বহাল রাখা হয়েছে।
কামরুল আনাম খানকে হিসাব বিভাগের দায়িত্বের পাশাপাশি ইন্টারনাল নিরীক্ষা বিভাগ এবং কমপ্লায়েন্স বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিমকে নতুন করে আবার মুখপাত্রের দায়িত্বের পাশাপাশি ডেরিভেটিভস বিভাগ, করপোরেট ফাইন্যান্স বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগে তিনি ডেরিভেটিভস বিভাগ এবং ইন্টারনাল নিরীক্ষা এ্যান্ড কমপ্লায়েন্স বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন।
নির্বাহী পরিচালক শফিউল আজমকে মার্কেট ইন্টেলিজেন্স ও ইনভেস্টিগেশন বিভাগের দায়িত্বে বহাল রাখা হয়েছে।
রিপন কুমার দেবনাথকে প্রশাসন ও ফাইন্যান্স বিভাগের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে এনফোর্সমেন্ট বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মীর মোশাররফ হোসেনকে কমিশন সচিবালয়ের দায়িত্বের পাশাপাশি ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি বা বিনিয়োগ শিক্ষা বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মীর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি বিভাগ থেকে সরিয়ে এডমিন এ্যান্ড ফাইন্যান্স বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
পরিচালক প্রদীপ কুমার বসাককে করপোরেট ফ্যাইন্যান্স বিভাগ, ক্যাপিটাল ইস্যু বিভাগ, ও এনফোর্সমেন্ট ডিভিশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২২ আগস্ট নির্বাহী পরিচালকদের দায়িত্বে রদবদল করা হয়েছিল।
