জানুয়ারি মাসে বেড়েছে দেশের রপ্তানি আয়। জানুয়ারিতে দেশে পণ্য রপ্তানি থেকে আয় এসেছে ৪৪৩ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার। যা বিদায়ী বছরের রপ্তানি আয়ের থেকে ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ বেড়েছে ।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জানুয়ারিতে বেড়েছে দেশের রপ্তানি আয়। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ। ২০২৪ সালের জানুয়ারি রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৪১৯ কোটি ৬৯ লাখ ডলার।
জানুয়ারি মাসের মধ্যে তৈরি পোশাক (আরএমজি) রপ্তানি আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬৬ কোটি ৪৩ লাখ ডলারে। আর ২০২৪ সালে এ আয় ছিল ৩৪৭ কোটি ১০ লাখ ডলার।
তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানি আয়ের মধ্যে ১৮৫ কোটি ২ ডলার এসেছে নিটওয়্যার রপ্তানি থেকে, যা বছর ব্যবধানে ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া ১৮১ কোটি ৪০ লাখ ডলার এসেছে ওভেন পোশাক রপ্তানি থেকে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ৪ দশমিক ৫২ শতাংশ।
ইপিবির তথ্যানুযায়ী, জানুয়ারিতে অন্যান্য উল্লেখযোগ্য খাতের মধ্যে কৃষি পণ্য রপ্তানি বেড়েছে। তবে কমেছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য ও হোম টেক্সটাইলের। হোম টেক্সটাইলের রফতানি আয় ১ দশমিক ১৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৩০ লাখ ডলারে। আর চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি কমেছে ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ। জানুয়ারিতে রপ্তানি হয়েছে ৯ কোটি ১৭ লাখ ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য।
এছাড়া কৃষি পণ্যের রপ্তানি আয় ২১ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৮৩ লাখ ডলারে। ২০২৪ সালের একই সময়ে যা ছিল ৬ কোটি ৪৫ লাখ ডলার।
এদিকে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি মাসে তৈরি পোশাক, ওষুধ এবং চামড়াসহ ২৭ ধরনের পণ্য বিশ্ববাজারে রপ্তানি হয়েছে। এ সময় বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হয়েছে ২ হাজার ৮৯৬ কোটি ৯৫ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেশি।
ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় ৪৬২ কোটি ডলার, বেড়েছে ১৭.৭২ শতাংশ