ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

মাংসের দাম কমলেও সবজি-মাছে আগুন

আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৯ এএম

ঈদের পর এখনো জমে ওঠেনি রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলো। বেশির ভাগ দোকানপাট এখনো খোলেনি। এরই মধ্যে সরবরাহ সংকটের অজুহাতে বেড়েছে সবজি ও মাছের দাম। তবে কমেছে মুরগি ও গরুর মাংসের দাম। 

শনিবার (৫ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর কাওরান বাজার, শান্তিনগর, নিউ মার্কেটসহ অন্য কাঁচাবাজারগুলোতে এমন চিত্র।  

দেখা গেছে, প্রতি কেজি পাঙাশ কিনতে ক্রেতার ২০০-২২০ টাকা গুনতে হচ্ছে, যা ঈদের আগেও ১৮০-১৯০ টাকা ছিল। এছাড়া সবজির সরবরাহ কিছুটা কম হওয়ায় তুলনামূলক দাম বেশি। বিশেষ করে কাঁচা মরিচ, পেঁপে, টমেটোর দাম বেড়েছে। 

ঈদের আগে প্রতি কেজি টমেটো ২০ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে পাওয়া গেলেও শনিবার তা ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। কাঁচামরিচের কেজিতেও ২০ টাকা বেড়ে তা ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঈদের পর চাহিদা কমলেও এখনো লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। আকার ভেদে প্রতিটি লাউ ৫০ থেকে ৭০ টাকা, পেঁপে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, দেশি শসার কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা ও হাইব্রিড শসা ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

ব্যবসায়ীরা বলেছেন, ঈদুল ফিতরের বন্ধের কারণে অনেক মানুষ এখনো রাজধানীতে ফেরেননি। আবার অনেক ব্যবসায়ীও ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি গেছেন।  সবমিলিয়ে বাজারে কেনাবেচা কম।  তবে ঈদের ছুটি শেষে এ সপ্তাহেই বাজার জমে উঠবে বলে তারা আশা করছেন। 

কাওরান বাজারের সবজি বিক্রেতা লোকমান হোসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, ঈদের পর বাজারে ক্রেতার উপস্থিতি কম। কিন্তু একই সঙ্গে বাজারে সবজির সরবরাহ কমেছে। ফলে দামটা একটু বাড়তি। তিনি বলেন, চলতি সপ্তাহে বাজারে সবজির সরবরাহ বাড়লে দামটাও কমে আসবে বলে আশা করছি।

বাজারে সবজির দাম কিছুটা বাড়লেও মুরগি ও গরুর মাংসের দাম কমেছে।  প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০ থেকে ২১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যা ঈদের আগে ২৪০ টাকায় উঠেছিল। ব্রয়লারের পাশাপাশি সোনালি মুরগির দামও কমেছে। কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা কমে তা ২৮০ থেকে ৩১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগে চাহিদা বাড়ায় গরুর মাংসের দাম বাড়লেও এখন তা কমেছে।  রাজধানীর খুচরাবাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। অথচ ঈদের আগে চাঁদ রাতে প্রতি কেজি গরুর মাংস রাজধানীর কোনো কোনো বাজারে ৮৫০ টাকায়ও বিক্রি হয়েছে। 

কাওরান বাজারের মাংস বিক্রেতা জিল্লুর রহমান বলেন, বাজারে এখন মুরগির চাহিদা নেই বললেই চলে। যে কারণে পাইকারি বাজারে দাম কিছুটা কমেছে। কম দামে আনায় আমরা খুচরা বিক্রেতারাও কম দামেই বিক্রি করছি। মনে হচ্ছে, দু-একদিনে দাম আরও কমে আসবে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের ছুটির কারণে রাজধানীর বাজারে চাষের মাছের সরবরাহ কমায় এই দাম বেড়েছে। শনিবার বাজারে বিভিন্ন ধরনের মাছের মধ্যে প্রতি কেজি পাঙাশ ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, শিং ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, কই ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা, রুই, কাতল আকার ভেদে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, চিংড়ি ৬৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, কোরাল ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, ট্যাংরা ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা, শোল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব মাছ ঈদের আগের তুলনায় কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন।

SN/KK
আরও পড়ুন