ঢাকা
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

সবজির তাপে পুড়ছে বাজার, বেড়েছে মুদি পণ্যের দাম

আপডেট : ২৯ আগস্ট ২০২৫, ১২:৩১ পিএম

রাজধানীর বাজারে ফের শুরু হয়েছে নিত্যপণ্যের মূল্য ঊর্ধ্বগতি। টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে সবজির দামে কোনো স্বস্তি নেই, এর সঙ্গে নতুন করে বেড়েছে মসুর ডাল, আটা, ময়দা, পেঁয়াজ, ডিম ও মুরগির দাম। সামনে আরও কিছু পণ্যের দাম বাড়ার আভাস দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের বাজার হয়ে উঠছে কষ্টসাধ্য।  

শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাজধানীর কয়েকটি পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজারে তিন-চারদিন আগেও প্যাকেটজাত এক কেজি আটা কোম্পানিভেদে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হতো। এখন দাম বেড়ে হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। অন্যদিকে, খোলা আটার দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। একইভাবে কোম্পানিভেদে ময়দার দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে হয়েছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। খোলা ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়।

বাজারে ভালো মানের মসুর ডালের দাম ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা বিক্রি হলেও এখন দাম উঠেছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়। অর্থাৎ, প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ১০ টাকা। একইভাবে বড় দানার মসুর ডালের দাম বেড়ে ১২৫-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে চড়া দামে আটকে থাকা সবজির দামে গত সপ্তাহের ব্যবধানে খুব একটা হেরফের নেই। এক কেজি বেগুন এখনো ১০০-১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। করলা প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা, কচুর লতি ৮০-১০০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৭০-৮০ টাকা, কচুর মুখি ৮০-৯০ টাকা, পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, চিচিংগা-ঝিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০-২৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।

পেঁয়াজ আমদানি বাড়লেও বাজারে দাম তেমন কমেনি। এখনো প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকা কেজি দরে। কারওয়ান বাজারে পাইকারিতে প্রতি কেজি আমদানি করা পেঁয়াজ ৬০-৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যেখানে দেশি পেঁয়াজও বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭২ টাকায়।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দামও বেশি। এই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে দেশি পেঁয়াজের সমান দামে। ফলে আমদানি থাকলেও তা দাম কমার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারছে না।

ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকার মধ্যে। যেখানে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২০-৩৩০ টাকা কেজি দরে। আগের সপ্তাহেও একই দামে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগি বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে মুরগির প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৫-১৫০ টাকা দরে।

সরকার সম্প্রতি হিমাগারে আলুর ন্যূনতম মূল্য ২২ টাকা নির্ধারণ করেছে। এর ফলে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে খুচরায় আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫–৩০ টাকা কেজিতে। তবে ব্যবসায়ীদের ধারণা, আগামী কিছুদিনের মধ্যে তা ৩৫–৪০ টাকা পর্যন্ত উঠতে পারে। 

LH
আরও পড়ুন