ঢাকা
বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

হানিমুনের জন্য বিশ্বের সেরা ১৫ স্থান

আপডেট : ১৫ মে ২০২৫, ১২:৫৩ পিএম

নতুন বিবাহিত দম্পতিরা একান্তে সময় কাটাতে, একে অপরকে বুঝে নিতে সমসময়ই খোঁজ করেন হানিমুনের সেরা স্থানগুলোর। অনেকেরই বিয়ের আগে পরিকল্পনা থাকে হানিমুন নিয়ে। সবাই যার যার সামর্থমতো দেশে কিংবা বিদেশে হানিমুনে যান। তবে সবার পক্ষে হানিমুনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করা সহজ বিষয় নয়। তবে অনেকেই তাদের এই ইচ্ছে পূরণ করেন জাকজমকতার সঙ্গে। ঠিক তেমনই হানিমুনের জন্য বিশ্বসেরা কয়েকটি জনপ্রিয় স্থান আছে। জেনে নিন তেমনই ১৫ টি সেরা জায়গা


গ্রিস
প্রাচীন সংস্কৃতি, মনোরম সৈকত, দারুণ রেস্তোরাঁ, আরামদায়ক থাকার জায়গাসহ আরও অনেক কিছু রয়েছে গ্রিসে। মে, জুন, জুলাইয়ের শুরুর ভাগ, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর সেখানে যাওয়ার জুতসই সময়। কিছুটা নির্জনতা ও গোপনীয়তার জন্য দেশটির সান্তোরিনি ও এথেন্স দ্বীপ জনপ্রিয়। গ্রিসের সবচেয়ে বড় আকর্ষণগুলো হলো অ্যাক্রোপোলিস ও এথেন্সের অ্যাক্রোপোলিস মিউজিয়াম, ডেলফি, সান্তোরিনি, রোডস টাউন ও সামারিয়া গর্গ। দুই থেকে তিনটি দ্বীপেই বেড়ানো ভালা। কারণ বেশি দ্বীপে যেতে চাইলে ফেরিতে বেশিক্ষণ থাকতে হবে। এছাড়া অপেক্ষাও করতে হয় প্রচুর।


থাইল্যান্ড
মধুচন্দ্রিমা উদযাপনের জন্য সবচেয়ে বাজেটবান্ধব, দারুণ ও ফুরফুরে গন্তব্যের মধ্যে থাইল্যান্ড অন্যতম। সেখানে প্রত্যেক দম্পতির জন্য আছে পাহাড়-পর্বত, ব্যস্ত সৈকত, নির্জন সমুদ্র উপকূল, প্রাণবন্ত শহুরে জীবন, প্রাণী অভয়ারণ্যসহ আরও অনেক কিছু। ফলে কোনটা রেখে কোনটা বেছে নেবেন তা নিয়ে ভ্রমণপ্রেমীরা মোটামুটি দোটানায় পড়ে যান! 

ব্যাংককের ফুকেট দ্বীপে বেড়ানো বেশি উপভোগ্য। সম্মোহনী সৈকত, সুদৃশ্য পাহাড়-পবর্ত, ট্রেকিং ট্রেইল, থাকার অফুরান জায়গা, রাতের সৌন্দর্য ও কেনাকাটার সুযোগের সম্মিলন রয়েছে সেখানে। পাহাড়-পর্বত ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পূজারী হলে নর্দার্ন থাইল্যান্ড বেছে নিলে ভালো। সেখানে প্রচুর বনাঞ্চল, বণ্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ও রাজকীয় পাহাড়ের কমতি নেই। থাইল্যান্ডের শীর্ষ আকর্ষণগুলো হলো কোয়াই নদীর ওপর সেতু, এরাওয়ান ন্যাশনাল পার্ক, মুকা হং, হ্যাট কারোন, খাও ফ্যানম বেঞ্চা ন্যাশনাল পার্ক, কো মুক, থাম মোরাকোত (এমেরাল্ড কেভ), ক্যাথলিক চার্চ চান্তাবুরি।

মালদ্বীপ
দৃষ্টিনন্দন সৈকতকে গন্তব্য হিসেবে পেতে মালদ্বীপে ভিড় করেন বেশিরভাগ পর্যটক। বাংলাদেশিরা ভিসা অন অ্যারাইভাল সুবিধা পেয়ে থাকেন সেখানে। আকর্ষণীয় এই দ্বীপের সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক শেকড় বেশ মজবুত। মালদ্বীপের আকর্ষণীয় জায়গাগুলো হলো ফুয়া মালাকু, কুদাহবারু, মিরিহি দ্বীপ, গ্র্যান্ড ফ্রাইডে মসজিদ, নালাগুরাইঢু সৈকত, মালদ্বীপ জাতীয় জাদুঘর। নবদম্পতির মন ভরানোর মতো রোমাঞ্চকর সেখানকার সব জায়গা। সাদা বালুকাময় সৈকতে সময় কাটালে মনে হবে এই বুঝি স্বর্গ! স্বচ্ছ কাচের মতো পরিষ্কার উপহ্রদে সূর্যাস্তের সময় ক্রুজে ভেসে বেড়ানো, স্কুবা ডাইভিং, মাছ ধরা, স্নোর্কেলিং, চড়ুইভাতি ও স্পা সবই উপভোগ করা যাবে। সাগরের পাশে মোমবাতির আলোয় নৈশভোজ না করলে মালদ্বীপে হানিমুন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। রাতে তারকাখচিত খোলা আকাশের নিচে খেতে খেতে গল্প করার মতো নিরন্তর প্রেম আর কী হতে পারে!

ফিজি আইল্যান্ড
প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ ফিজি আইল্যান্ডে বাজেট অনুযায়ী দারুণ রিসোর্ট পাওয়া যাবে। সেখানে সংস্কৃতিমনা মানুষদের জন্য নিয়মিত ট্যুরের আয়োজন করা হয়। সারাবছরই ফিজিতে ভ্রমণপ্রেমীদের ভিড় লেগে থাকে। নবদম্পতির উপভোগের জন্য ফিজিতে রয়েছে স্কাই ডাইভিং, ডার্ট বাইকিং, নদীতে ভেলায় চড়া, ট্রেকিং, স্কুবা ডাইভিংসহ অনেক কিছু। দেশটির আকর্ষণীয় জায়গাগুলো হলো টাভেইউনি দ্বীপের বাওমা ন্যাশনাল হেরিটেজ পার্ক, মামানুকা দ্বীপে ক্লাউডব্রেক, ভিটি লেভুতে ব্লু লেগুন ক্রুজ ও বেকা লেগুন।

মরিশাস
সমুদ্র সৈকতের জন্য মরিশাস বিখ্যাত। তবে আরও অনেকদিক থেকে দেশটি চিত্তাকর্ষক। বলিউডের বিভিন্ন ছবিতে ও কয়েকজন ঔপন্যাসিক তাদের সৃষ্টিকর্মে মরিশাসকে বিশেষ জায়গা দিয়েছেন। বিশ্বের দর্শনীয় অনেককিছু রয়েছে সেখানে। হাতে হাত রেখে নবদম্পতির এসব আশ্চর্যময় সৌন্দর্য দেখা উপভোগ্য লাগবে। চোখধাঁধানো দৃশ্যাবলী, রঙিন উপকূল, উষ্ণ আতিথেয়তা ও রোমাঞ্চকর কার্যক্রমের ফলে হানিমুনের জন্য মরিশাসকে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত সঠিক মনে হবে। এছাড়া কেনাকাটা, খাবার ও ক্লাবিংয়ের জন্য অসংখ্য জায়গা আছে। মরিশাসের দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে গ্র্যান্ড বেই, ক্যামারেল কালারড আর্থ ও ক্যাসেলা ন্যাশনাল পার্ক। এছাড়া পুরনো বিশ্বের বালাক্লাভা ধ্বংসাবশেষ দেখে পুরাতত্ত্ব সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।

মিসর
মিসরের প্রাচুর্যময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পিরামিড ও নীলনদ কাকে না মুগ্ধ করে! ফেরাউনের দেশ প্রায় প্রত্যেক রোমাঞ্চপ্রিয় ভ্রমণপ্রেমীকে হাতছানি দিয়ে ডাকে। প্রাচীন সভ্যতার ইতিহাসকে আগলে রাখা হয় এই দেশে। মিসরে প্রচুর পিরামিড, জাদুঘর ও অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের জন্য দারুণ সব স্পট রয়েছে। নীলনদের তীরে সময় কাটানোর পাশাপাশি ক্রুজে আনন্দ ভ্রমণের সুযোগ মিলবে। জীবনসঙ্গীর সান্নিধ্যে সংস্কৃতি ও ইতিহাসের নির্যাস নেওয়ার অভিজ্ঞতা অন্যরকম মনে হবে। মিসরের আকর্ষণীয় জায়গাগুলো হলো সিভা ওয়েসিস, ইজিপ্টিয়ান মিউজিয়াম, ভ্যালি অব কিংস, নীলনদের ক্রুজ, রেড সি রিফ, কার্নাক, গিজা নেক্রোপোলিস।

বালি
মধুচন্দ্রিমা উদযাপনের জন্য ইন্দোনেশিয়ার বালি সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্যগুলোর একটি। সেখানে যেতে বাংলাদেশিদের ভিসা লাগে না। দেশটির জনসংখ্যার অধিকাংশই হিন্দু ও মুসলমান। বিশ্বের সব প্রান্তের মানুষকে স্বাগত জানানো হয় এই দ্বীপে। ছুটি কাটানোর জন্য যোগব্যায়ামসহ প্রায় সবকিছু রয়েছে সেখানে। এজন্যই বিদেশিরা বালিতে নিয়মিত বসতি স্থাপন করেন! সেখানকার মনোরম সৈকত, সুন্দর মন্দির ও চোখধাঁধানো রিসোর্ট হানিমুনকে স্মরণীয় করে দেবে।

মাদু সারি মাউন্টেন রেস্তোরাঁয় খাওয়ার ফাঁকে সরাসরি আগ্নেয়গিরির দৃশ্য দেখা যাবে। বালি সাফারি ও মেরিন পার্কে ধানক্ষেতের মাঝখানেও একটি রেস্তোরাঁ আছে। এছাড়া পড চকোলেট ফ্যাক্টরি অ্যান্ড ক্যাফেতে ভালুকের সঙ্গে কোলাকুলি করা যায়। বালির দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে উবুদে তেগাল্লালাং রাইস তেরেসেস, উবুদ আর্ট মার্কেট, কিন্তামানি, গোয়া গাজাহ ও সেন্ট্রাল বালিতে মাউন্ট বাতুর ও গোয়া গেজা গুহা।

কম্বোডিয়া
ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত আংকর ওয়াত মন্দিরের সুবাদে কম্বোডিয়ায় আধ্যাত্মিক আবহ রয়েছে। মধুচন্দ্রিমা উদযাপনকারীদের সিয়েম রিপে থাকার অনেক মানসম্মত জায়গা আছে। দেশটির চোখধাঁধানো দৃশ্য ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করার মতো দারুণ ছবি তুলতে সহায়ক। কম্বোডিয়ার আকর্ষণীয় জায়গার মধ্যে রয়েছে সিয়েম রিপ, ফ্যানম পেন, মেকং, তোনলে স্যাপ, বানতিয়াই স্রাই। এছাড়া আংকর প্রত্নতত্ত্ব পার্ক ও তাপ্রম মন্দিরে ঘুরে বেড়ানো যায়। গোল্ডেন টেম্পল রেসিডেন্সে প্রাচীন মন্দির স্থাপত্যে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় দেখার অপূর্ব সুযোগ মিলবে। সেখানে প্রতি রাতের ভাড়া ৭৯ মার্কিন ডলার। আংকর নাইট মার্কেট, পাব স্ট্রিট ও পিসার চা মার্কেট থেকে এর দূরত্ব বেশি নয়। সিয়েম রিপে মারোম রেস্তোরাঁয় তরুণ শেফদের রান্না করা খাবার বেশ উপভোগ্য।

ফিলিপাইন
শত শত দ্বীপপুঞ্জে ভরপুর ফিলিপাইন। প্রতিটিতেই উপভোগ করার মতো অনেক কিছু আছে। নবদম্পতি স্থানীয়দের সঙ্গে রাতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। চকোলেট হিলের চুনাপাথর দ্বীপঘেঁষা সাগরের জলে ডুবতে থাকে। এছাড়া আছে আগ্নেয়গিরির হ্রদ। ঐতিহাসিকভাবে সমৃদ্ধ দেশগুলোর মতোই ফিলিপাইনে ভ্রমণের অনেক পর্যটন স্পট আছে। এর মধ্যে আকর্ষণীয় হলো পালাওয়ানের হুমা আইল্যান্ড, করোন, এল নিদো, কামিগিন, বাতানেস, সেবুতে কামোৎস, লেক সেবু ও সিকিহোর। ঝলমলে সামুদ্রিক আবহে সুস্বাদু খাবার, উৎসব, স্কুবা ডাইভিং, কাইট বোর্ডিং, ক্লিফ ডাইভিং, সার্ফিং ও উইন্ড সার্ফিং উপভোগ্য লাগবে নবদম্পতিদের।

বুদাপেস্ট
সংস্কৃতি ও বিলাসিতার নিখুঁত সংমিশ্রণ চাইলে হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্ট নবদম্পতিদের জন্য সবচেয়ে জুতসই জায়গা। এই জায়গাকে ভালোবেসে ডাকা হয় ‘মধ্য ইউরোপের ক্ষুদে প্যারিস’। জাদুময় স্পট, বিশ্বমানের রেস্তোরাঁ ও কেনাকাটার জায়গার অভাব নেই বুদাপেস্টে। শহরটির রয়েছে হাজার বছরের প্রাচুর্যময় ইতিহাস।

মধুচন্দ্রিমা উদযাপনের অংশ হিসেবে সেন্ট পার্কের বাগানে ঝরনার পাশে হাতে হাত রেখে হাঁটতে হাঁটতে গল্প করতে পারেন নবদম্পতিরা। একটু নিরিবিলি সময় কাটাতে চাইলে বুদা পর্বতমালা বেছে নেওয়া যায়। মোটরসাইকেল ভাড়া করে চলতে চলতে মনোরম প্রকৃতি উপভোগ করার সুযোগ আছে। সেখানে স্টেলেগ্মাইট গুহায় বেড়ালে ভালো লাগতে পারে। এছাড়া রেস্তোরাঁগুলোতে মিলবে সুস্বাদু খাবার। বুদাপেস্টের আকর্ষণীয় জায়গাগুলো হলো ফিশারম্যান’স ব্যাস্টিয়ন, চকোলেট মিউজিয়াম, বুদাপেস্ট ইভেনিং সাইটসিইং ক্রুজ, বুদা ক্যাসেল, চেইন ব্রিজ, মার্গারেট আইল্যান্ড, লেক বালাটন।

দক্ষিণ আফ্রিকা
প্রকৃতি ও বুনো হাতিকে কাছ থেকে দেখতে সঙ্গীকে নিয়ে হানিমুনে যেতে পারেন সুদূর দক্ষিণ আফ্রিকায়। এমনকি সেখানে গিয়ে লং ড্রাইভে কিংবা ট্রিপেও বেড়োতে পারবেন। দক্ষিণ আফ্রিকা সফর আপনার স্বপ্নকে সত্যি করে তুলবে।

তুরস্ক
প্রাকৃতিক দৃশ্য, সমৃদ্ধ ইতিহাস, রঙিন উৎসব, মজাদার সব খাবার ও প্রচুর শপিংয়ের জন্য যেতে পারেন তুরস্ক। দম্পতিদের জন্য তুরস্ক একটি সেরা স্থান। প্রকৃতি যেন পাহাড়-পর্বত, সমুদ্র, হ্রদ, জলপ্রপাত, নদীতে তার সবটুকু সৌন্দর্য ঢেলে দিয়েছে। ফলে দেশটিতে বাংলাদেশি ভ্রমণপিপাসুদের আগ্রহ ক্রমেই বাড়ছে। দুই দেশে খুব সহজেই মিলছে ভ্রমণ ভিসা। সীমিত বাজেটে তুরস্ক ঘুরে আসতে পারেন আপনিও। এজন্য দরকার একটি ট্যুর পরিকল্পনা। ভিসার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ আবেদন ফি দিতে হবে। ভিসা পেতে গড়ে ১৪ দিন পর্যন্ত সময় লাগে। সাধারণত ভ্রমণ ভিসায় তিন মাস পর্যন্ত সময় থাকে। এ সময়ের মধ্যেই ঘোরাঘুরির জন্য উত্তম সময়টি বের করতে হবে।


সেশেলস
কেনিয়া উপকূল থেকে প্রায় ১০০০ মাইল দূরে ভারত মহাসাগরের মাঝখানে একটি স্বর্গের দ্বীপপুঞ্জ, সেশেলস। ১১১টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত সেশেলস। যার মধ্যে বেশিরভাগই জনবসতিহীন। রাজধানী, ভিক্টোরিয়া বৃহত্তম ও সর্বাধিক ঘনবসতিপূর্ণ দ্বীপ মাহেতে অবস্থিত। সেশেলসের সাদা বালি ও স্ফটিক সমুদ্র সৈকত সব পর্যটকেরই নজর কাড়ে। হানিমুনের জন্য একটি জনপ্রিয় গন্তব্য স্থনটি। সেশেলসে বিলাসবহুল সৈকত রিসর্টগুলোর চাহিদা এখন তুঙ্গে। সমুদ্র, পাহাড়, নীল পানি, সবুজ গাছপালায় ঘেরা সেশেলসের বেশিরভাগ দ্বীপ। সেখানে গেলে আপনি নিজের জন্য ব্যক্তিগত দ্বীপ ভাড়া নিয়ে থাকতে পারবেন।

সুইজারল্যান্ড
আল্পস পর্বতের মাঝামাঝি অবস্থিত সুইজারল্যান্ড একটি ছোট দেশ। তুষার মুকুট পরিহিত আল্পসের চূড়া, ঝিলমিল করা নীল পানির হৃদ, এমারেল্ড ভ্যালি, হিমবাহ সুইজারল্যান্ডের সৌন্দর্য দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়। সেখানে আছে বিশ্বমানের আন্তর্জাতিক রিসোর্ট, হাইকিং, বাইকিং, ক্লাইম্বিং, স্কিইং, প্যারাগ্লাইডিং ও স্লেজ গাড়িতে চড়ার সুবিধা। হানিমুনের জন্য সুইজারল্যান্ড এক জনপ্রিয় স্থান। সেখানকার রাজধানী বার্ন মধ্যযুগীয় পুরোনো শহর। জার্মানি, ইতালি, অস্ট্রিয়া ও ফ্রান্স দ্বারা পরিবেষ্টিত সুইজারল্যান্ড। সুইজারল্যান্ডের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে আছে- মেটারহর্ন, জাংফ্রোজস, ইন্টারলাকেন, লুসারণ ইত্যাদি।

দুবাই
হানিমুনের জন্য বর্তমানে সেরা এক স্থান হলো দুবাই। সেখানকার বুর্জ খলিফা কাছ থেকে দেখার সাধ সবার মনেই আছে! দুবাইয়ের সমুদ্র খুব বিখ্যাত। ইয়েলো বোট রাইডস এ ভ্রমণে দেখা যাবে পাম দ্বীপ, বুর্জ আল আরব, দুবাই মেরিনা ও পাম লেগুন। দুবাই বেড়াতে গেলে মরুভূমিতে সাফারি ভ্রমণ করতে ভুলবেন না। বেশির ভাগ সাফারি ভ্রমণেই থাকে বালিয়াড়ি ভ্রমণ, বেলি ড্যান্স, শিশা, তনুরা ড্যান্স, কোয়াড বাইক ভ্রমণ ও খাবার। দুবাই শহর থেকে এক ঘণ্টার ড্রাইভিংয়ে যেতে পারেন অ্যাডভেঞ্চার ওয়ার্ল্ড। এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নিজস্ব পরিবেশে কেনাকাটার জন্য সেখানে রয়েছে গ্লোবাল ভিলেজ।

প্রাগ
চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগ। শহরের মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে ভলটাভা নদী। নদীর উপর আছে ১৫টি সেতু, চার্লস ব্রিজ যার মধ্যে সবচেয়ে পুরোনো। ৫০০ মিটার লম্বা সেতুটি ইউরোপের দীর্ঘতম গথিক স্থাপত্যের ব্রিজ। ১৩৫৭ সালে সম্রাট চতুর্থ চার্লস এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন, তারই নামে এই সেতু।

প্রাগ হানিমুনের জন্য সেরা এক গন্তব্য। ‘স্বর্ণ শহর’ নামে পরিচিত প্রাগ পূর্ব ইউরোপ ভ্রমণের শীর্ষে থাকবে। প্রতিবছর ৪০ লাখ পর্যটক ভিড় করেন সেখানে। প্রাগের অনিন্দ্য সুন্দর চার্চ, ওল্ড টাউন হলের গ্লোকেন স্পিল শোনেন, চেক বিয়ারের স্বাদ নেন ও চার্লস ব্রিজ থেকে প্রাগ ক্যাসেল পর্যন্ত ঘুরে বেড়ান।

FJ
আরও পড়ুন