গ্রিনল্যান্ড থেকে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হওয়া বরফ তুলে এনে তা বিক্রি করা হচ্ছে দুবাইয়ের বিভিন্ন রেস্তোরাঁয়। যার দামও বেশ চড়া। গ্রিনল্যান্ডের দুই উদ্যোক্তা মিলে ‘আর্কটিক আইস’ নামে একটি ব্যবসার উদ্যোগ নেয়। ২০২২ সালে থেকে তাঁরাই এ বরফ দুবাইয়ের বাজারে সরবরাহ করছে।
প্রতিষ্ঠানটির সহপ্রতিষ্ঠাতা মালিক ভি রাসমুসিন বলেন, ‘আমরা সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন ও পুরোনো হিমশৈল থেকে বরফখণ্ড সংগ্রহ করে থাকি।’ কোনো হিমশৈল পছন্দ হলে তারা ক্রেন ব্যবহার করে সেখান থেকে বরফ সংগ্রহ করে। বড় আকারের বরফখণ্ডকে কেটে টুকরা করে তা প্যাকেটজাত করা হয়।এই বরফে কোনো ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু আছে কি না, তা নমুনা পরীক্ষা করে দেখা হয়। এরপর ওই বরফ গ্রিনল্যান্ড থেকে দুবাইয়ে জাহাজে করে পাঠানো হয়। দুবাইয়ে পুনরায় এ বরফ প্যাকেটজাত করে বিক্রি করা হয়।
আর্কটিক আইসের দাবি, তারা প্রাকৃতিক সম্পদ সংগ্রহের জন্য নতুন উপায় গ্রহণ করেছে। এতে অর্থনীতির ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ ও আর্কটিক নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি হবে।
তবে সমালোচকেরা বলছেন, জীবাশ্ম জ্বালানি পুড়িয়ে হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে জাহাজে করে বরফ দুবাইয়ে আনা অপব্যয়। কারণ, দুবাইয়ে নিজস্ব বরফ তৈরির সুবিধা রয়েছে।
সমালোচকেরা মনে করেন, খুব কম লোকই সম্ভবত তাঁদের কোমল পানীয়, কফি বা ককটেলে বরফের উৎপত্তি বিবেচনা করে সময় নষ্ট করেন। তবে এটি একটি বড় ব্যবসা।
