গত ১৪ জুন পার্লামেন্টের ভোটাভুটির মাধ্যমে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন সিরিল রামাফোসা। রামাফোসার ‘জাতীয় ঐক্যের’ সরকারে জোট গড়েছে দেশটির ঐতিহ্যবাহী আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস (এএনসি), মধ্যডানপন্থী ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (ডিএ) এবং আরও কয়েকটি ছোট দল। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরে রোববার (৩০ জুন) দেশটির নতুন সরকারের মন্ত্রিসভার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
এবার দেশটির সাবেক বিরোধী দলগুলোর কাছে ১২টি মন্ত্রণালয় ছাড়তে হয়েছে তাকে। তবে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলো রেখেছেন নিজেদের দখলে। গত ২০ মের নির্বাচনে দেশটির সাধারণ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস (এএনসি) সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালে বিরোধীদের নিয়ে জোট গঠন করে ক্ষমতায় এসেছে। এএনসি এবং ডিএর মধ্যে কয়েক সপ্তাহের আলোচনার পর রামাফোসা এ ঘোষণা দিলেন।
নতুন সরকারে এএনসি মন্ত্রিসভায় ৩২টি পদের মধ্যে ২০টি নিজেদের কাছে রেখেছে। এর মধ্যে পররাষ্ট্র, অর্থ, প্রতিরক্ষা, বিচার ও পুলিশ। এএনসি প্রেসিডেন্টের ঘোষণাকে এক বিবৃতিতে স্বাগত জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এটি গণতন্ত্র টেকসই করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
এএনসির সঙ্গে জোটের বড় অংশীদার ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (ডিএ) মন্ত্রীসভায় ছয়টি পদ পেয়েছে। এর মধ্যে স্বরাষ্ট্র, পরিবেশ ও জনকল্যাণ। ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স নেতা জন স্টিনহুইসেনকে (৪৮) কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ডিএর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে একে দক্ষিণ আফ্রিকার গণতান্ত্রিক যাত্রায় একটি নতুন যুগ বলে অভিহিত করে একে স্বাগত জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে দুর্নীতির প্রতি শূন্য সহনশীলতা দেখানোর কথাও বলা হয়েছে।
জুলু জাতীয়তাবাদী ইনকাথা ফ্রিডম পার্টি (আইএফপি), অভিবাসনবিরোধী প্যাট্রিয়টিক অ্যালায়েন্স ও ডানপন্থী আফ্রিকানস পার্টি ফ্রিডম-ফ্রন্ট প্লাসসহ অন্য ছোটো দলগুলো মিলে মন্ত্রিসভায় ছয়টি পদ পয়েছে। এ দলগুলোর মধ্যে ভূমি পুনর্গঠন, সংশোধন সেবা, খেলা, পর্যটন ও জনসেবার মতো মন্ত্রণালয় দেওয়া হয়েছে।
