সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদ সরকারের পতনের পর দেশটির রাজধানী দামেস্কে প্রবেশ করেছেন বিদ্রোহীরা। সিরিয়ার বিভিন্ন স্থান থেকে ভেঙে ফেলা হচ্ছে স্বৈরশাসক আসাদের বাবা ও দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট হাফিজ আল-আসাদের মূর্তি।
বোরবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে বিদ্রোহীদের ঘোষণার মুখে সিরিয়া ছেড়ে পালান টানা দুই যুগের স্বৈরশাসক আসাদ। আসাদ সিরিয়া ছাড়ার পর সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা দামেস্ক বিমানবন্দর এবং প্রেসিডেন্টের বাসভবন ত্যাগ করে সরে যায়।
এরপরই দেশটির বিভিন্ন স্থান থেকে ভেঙে ফেলা হচ্ছে হাফিজ আল-আসাদের মূর্তি। দামেস্ক থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে জেরমানা শহরতলির কেন্দ্রে থাকা হাফিজ আল-আসাদের একটি মূর্তি ভাঙতে দেখা গেছে বিদ্রোহীদের।
১৯৭১ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন হাফিজ আল-আসাদ। ২০০০ সালে তাঁর মৃত্যু হয়। ওই বছরই সিরিয়ার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন তাঁর ছেলে বাশার আল-আসাদ। টানা দুই যুগ ধরে (২৪ বছর) তিনি সিরিয়া শাসন করেন।

তাঁর আমলেই ২০১১ সালে সিরিয়ায় ভয়াবহ গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে। মিত্র রাশিয়া ও ইরানের সহায়তায় কয়েক বছর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বিদ্রোহীদের দমন করতে সক্ষম হন বাশার আল-আসাদ। যদিও আনুষ্ঠানিক কোনো যুদ্ধবিরতি হয়নি।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভিতে দেশবাসীর উদ্দেশে নিজেদের প্রথম বিবৃতি সম্প্রচার করেছেন বিদ্রোহীরা।
আলজাজিরা জানায়, বেসামরিক পোশাক পরে রাষ্ট্রীয় টিভিতে এক ব্যক্তি বলেছেন, ‘দামেস্ক শহর মুক্ত করা হয়েছে।’
এর আগে, বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল শাম (এইচটিএস) তাদের টেলিগ্রামে বলেছে, ‘একটি অন্ধকার যুগের সমাপ্তি হয়েছে এবং একটি নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। স্বৈরাচার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ পালিয়েছেন। সিরিয়া মুক্ত হয়েছে।
সূত্র: এএফপি, আল জাজিরা।
