ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

কাশ্মীর সীমান্তে গোলাগুলি

আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫৩ এএম

কাশ্মীরে হামলার ঘটনায় ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর মধ্যেই জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা (LoC) বরাবর ভারত ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। 

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাতে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানি সেনাদের পক্ষ থেকে প্রথমে ছোট অস্ত্রে গুলিবর্ষণ শুরু হয় এবং ভারতীয় বাহিনীও পাল্টা জবাব দেয়। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এর আগে, গত মঙ্গলবার বিকেলে পেহেলগামের বৈসারণ উপত্যকায় সশস্ত্র হামলায় ২৬ জন নিহত হন। তাদের মধ্যে ২৫ জন ভারতীয় এবং একজন নেপালের নাগরিক। ওই হামলার পর ভারত দাবি করে- এটি পাকিস্তান থেকে পরিচালিত একটি জঙ্গিগোষ্ঠীর কাজ। তবে পাকিস্তান এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং হামলার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে জানিয়েছে।

হামলার পরপরই ভারত একাধিক কঠোর পদক্ষেপ নেয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো পাকিস্তানের সঙ্গে ছয় দশকের পুরনো সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত ঘোষণা, আটারি সীমান্ত বন্ধ, দিল্লিতে নিযুক্ত পাকিস্তানি সামরিক উপদেষ্টাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা, হাইকমিশনে কর্মী সংখ্যা কমিয়ে আনা এবং সব পাকিস্তানি নাগরিকের ভিসা বাতিল করে দেশত্যাগের নির্দেশ দেওয়া।

পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান দাবি করেছে ভারতের এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘনের শামিল। ইসলামাবাদ বলেছে, ১৯৬০ সালের চুক্তি বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত হয়, যা একতরফাভাবে বাতিল করা যায় না। পাকিস্তান হুঁশিয়ারি দিয়ে জানায়, চুক্তির আওতায় তাদের প্রাপ্য পানি আটকে দিলে বা অন্যদিকে প্রবাহিত করলে, তারা তা যুদ্ধ ঘোষণার সমান বলে বিবেচনা করবে এবং জাতীয় শক্তি দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাবে।

বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, পরিস্থিতি যদি নিয়ন্ত্রণে না আনা যায়, তবে দুই দেশের মধ্যে আবারও সীমান্ত সংঘাতের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে, যেমনটি দেখা গিয়েছিল ২০১৯ সালে। সেবার কাশ্মীরে এক আত্মঘাতী হামলার পর ভারত পাকিস্তানের বালাকোট এলাকায় বিমান হামলা চালায়। সূত্র: এনডিটিভি

SN
আরও পড়ুন