ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

যুদ্ধ সমাপ্তিতে পুতিনের যত দাবি

আপডেট : ২২ আগস্ট ২০২৫, ০৪:৪৭ পিএম

ইউক্রেনে যুদ্ধের সমাপ্তির জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তিনটি দাবি জানিয়েছেন, পুরো ডনবাস অঞ্চল, পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটোতে কিয়েভের যোগ দেওয়ার আকাঙ্ক্ষা পরিত্যাগ এবং নিরপেক্ষতা বজায় রেখে ইউক্রেনীয় সীমানায় পশ্চিমা মিত্রদের সেনাদের স্থান না দেওয়া।

ক্রেমলিনের শীর্ষস্থানীয় তিন কর্মকর্তার বরাতে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলাস্কায় গত শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বৈঠক করেন পুতিন। চার বছরেরও বেশি সময় পর এটি ছিল দুদেশের প্রথম শীর্ষ বৈঠক। প্রায় তিন ঘণ্টার বৈঠকের বড় অংশ জুড়েই ইউক্রেন ইস্যুতে সম্ভাব্য সমঝোতা নিয়ে আলোচনা হয়।

পুতিন বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এ বৈঠক ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ খুলে দিতে পারে। তবে কেউই আলোচনার বিস্তারিত প্রকাশ করেননি।

রয়টার্স তাদের প্রতিবেদনে জানায় , ২০২৪ সালের জুনে তিনি ইউক্রেনের কাছ থেকে ডোনেস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিজ্জিয়ার সম্পূর্ণ দখল চেয়েছিলেন। তখন এসব শর্তকে আত্মসমর্পণের সমতুল্য বলে প্রত্যাখ্যান করেছিল কিয়েভ।

নতুন প্রস্তাবে ডনবাসের কিয়েভ নিয়ন্ত্রিত অংশ থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহারের দাবি ধরে রেখেছেন পুতিন। এটি মেনে নেওয়ার বিনিময়ে খেরসন ও জাপোরিজ্জিয়ার বর্তমান ফ্রন্টলাইনে অবস্থান স্থগিত করবে বলে জানানো হয়েছে। বর্তমানে ডনবাসের প্রায় ৮৮ শতাংশ এবং খেরসন-জাপোরিঝিয়ার প্রায় ৭৩ শতাংশ এলাকা ক্রেমলিন নিয়ন্ত্রণ করছে।

এছাড়া রাশিয়া সম্ভাব্য সমঝোতার অংশ হিসেবে খারকিভ, সুমি ও দিনিপ্রোপেত্রভস্ক অঞ্চলে দখলকৃত কিছু এলাকা ফেরত দিতে ইচ্ছুক বলেও জানা গেছে। তবে পুতিনের শর্তের মধ্যে রয়েছে- ইউক্রেনের ন্যাটো আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ, ন্যাটোর পূর্বদিকে সম্প্রসারণ না করার জন্য আইনগত নিশ্চয়তা, ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর আকার সীমিত রাখা এবং পশ্চিমা সেনাদের শান্তিরক্ষী বাহিনী হিসেবে ইউক্রেনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা।

তবে তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলমান যুদ্ধে হাজারো মানুষ হতাহত হওয়ার পরও দুই পক্ষের অবস্থানে এখনও রয়েছে বিস্তর ফারাক।

রুশ প্রস্তাবের বিষয়ে ইউক্রেনীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। হোয়াইট হাউজ ও ন্যাটোর তরফ থেকেও রুশ প্রস্তাব নিয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

তবে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একাধিকবার বলেছেন, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ভূমি ছেড়ে দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। ডনবাস অঞ্চল তাদের দেশের অস্তিত্ব রক্ষায় প্রতিরক্ষা দুর্গের ভূমিকা পালন করছে।

তিনি আরও জানান, ন্যাটোতে যোগদান ইউক্রেনের সাংবিধানিক লক্ষ্য এবং এটিকে নিরাপত্তার সবচেয়ে বড় নিশ্চয়তা হিসেবে দেখা হয়।

সূত্র: রয়টার্স

MH/MMS
আরও পড়ুন