ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইরানে ধরপাকড় শুরু করে দেশটির পুলিশ। ১২ দিনের যুদ্ধে প্রায় ২১ হাজার ‘সন্দেহভাজন’কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই সময় ইরানের রাস্তা-ঘাটে চেকপয়েন্ট স্থাপন এবং জনসাধারণের রিপোর্টভিত্তিক কঠোর নজরদারি চালানো হয়।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে পুলিশের মুখপাত্র সাঈদ মন্তাজেরোল মাহদি এ তথ্য জানান।
বাণিজ্য দ্বন্দ্বের ছায়ায় মোদির আমেরিকা সফরসংঘাত চলাকালীন যুক্তরাষ্ট্রও ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ব্যাপক হামলা চালায়।
ইরানি নাগরিকদের যেকোনো ‘সন্দেহজনক’ ব্যক্তি সম্পর্কে কর্তৃপক্ষকে জানানোর আহ্বান জানানো হয়েছিল। সেই সময় রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চৌকি বসিয়ে এবং ‘জনগণের অভিযোগ’ গ্রহণের ভিত্তিতে পুলিশের তৎপরতা জোরদার করা হয়।
পুলিশ মুখপাত্র সাঈদ মন্তাজেরোল মাহদি জানান, ‘জনগণের ফোনকল ৪১ শতাংশ বেড়েছে, যা ১২ দিনের যুদ্ধে ২১ হাজার সন্দেহভাজন গ্রেপ্তারের দিকে নিয়ে গেছে।’
তবে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা কোন অপরাধে সন্দেহভাজন ছিলেন তা বিস্তারিতভাবে জানানো হয়নি।
সংঘর্ষ চলাকালে ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা, বিজ্ঞানীসহ শত শত সাধারণ নাগরিক নিহত হন। জুনের শেষে সংঘর্ষের সমাপ্তির পর ইরান ইসরাইলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে।
ভারতের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিলেন শেহবাজ শরিফএছাড়া সংঘাত আফগান শরণার্থী ও অবৈধ অভিবাসীদের ওপরও প্রভাব ফেলেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ২,৭৭৪ অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে এবং ২৬১ জনকে গুপ্তচরবৃত্তি ও অনুমোদন ছাড়া ভিডিও ধারণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মন্তাজেরোল মাহদি আরও জানিয়েছেন, পুলিশের সাইবার ইউনিট ৫,৭০০টিরও বেশি সাইবার অপরাধ মোকাবিলা করেছে, যা তাদের ভাষায় সাইবারস্পেসকে গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করেছে। সূত্র: আল জাজিরা
