সৌদি আরবের মক্কায় পবিত্র কাবা শরীফের ওপরে শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) ভোরে দেখা গেছে চাঁদ। ক্ষীয়মাণ গিব্বাস চাঁদের এ অবস্থানকে বিজ্ঞানীরা এক অসাধারণ মহাজাগতিক দৃশ্য হিসেবে অভিহিত করেছেন।
সৌদি জেদ্দা অ্যাস্ট্রোনমি সোসাইটির প্রধান মাজেদ আবু জাহরা বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সিকে জানান, এ ঘটনা প্রমাণ করে চাঁদসহ অন্যান্য মহাজাগতিক বস্তুর গতিপথ নির্ণয়ে করা জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক গণনা কতটা নিখুঁত। তার মতে, এর ফলে বিশ্ব মুসলিমরা নামাজের দিক অর্থাৎ কিবলা আরও সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে পারবেন। সর্বশেষ ২০২০ সালের মার্চে এমন দৃশ্য দেখা গিয়েছিল। তার আগে ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর এবং ওই বছরই ২৪ ডিসেম্বরে চাঁদকে কাবা শরীফের উপরে দেখা গিয়েছিল।

পবিত্র কাবা শরীফে উপস্থিত হাজারো মুসলিম জন্য এটি ছিল এক অনন্য ও স্মরণীয় অভিজ্ঞতা। অন্যদিকে, জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের জন্য ঘটনাটি ছিল ব্যবহারিক পরীক্ষার মতো। তারা গাণিতিক মডেলের ভবিষ্যদ্বাণীর সঙ্গে সরাসরি পর্যবেক্ষণ মিলিয়ে দেখেছেন এবং বিভিন্ন কোণ ও উচ্চতা বিশ্লেষণ করে গণনার যথার্থতা যাচাইয়ের সুযোগ পেয়েছেন।
আবু জাহরা আরও জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় চাঁদ সপ্তর্ষিমণ্ডল বা ‘সেভেন সিস্টার্স’ নামে পরিচিত নক্ষত্রপুঞ্জের সামনে দিয়ে যাবে। এ সময় এটি কিছু নক্ষত্রকে একে একে আড়াল করবে। সৌদি আরবসহ আরব বিশ্বের বহু স্থান থেকে এ দৃশ্য প্রত্যক্ষ করা সম্ভব হবে।
ঐতিহাসিকভাবে মুসলিম জ্যোতির্বিদ্যায় সূর্য, চাঁদ ও নক্ষত্রের অবস্থান দেখে নামাজের সময় ও কিবলা নির্ধারণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আজও এ ধরনের মহাজাগতিক দৃশ্য আধ্যাত্মিক তাৎপর্যের পাশাপাশি বৈজ্ঞানিক কৌতূহল সৃষ্টি করে।
১০ দিনের চীন সফরে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট
জামায়াত হচ্ছে চিতাবাঘ: ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত