হাস্যকর যুদ্ধ থামান, না হলে পরিস্থিতি খারাপ হবে: ট্রাম্প

‘এখনই মীমাংসা করুন, এই হাস্যকর যুদ্ধ থামান। না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।’

 

 

আপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:০৫ পিএম

হাস্যকর যুদ্ধ থামান। না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। খবর ডয়চে ভেলের। 

নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সোশ্যাল ট্রুথে এ হুমকি দিয়েছেন তিনি। ট্রাম্প বলেন, পুতিনকে এই যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে, না হলে তিনি ব্যবস্থা নেবেন। 

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘এখনই মীমাংসা করুন, এই হাস্যকর যুদ্ধ থামান। না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর বুধবার (২২ জানুয়ারি) ট্রাম্প এই প্রথমবার পুতিনকে নিয়ে মুখ খুললেন। 

তিনি বলেন, ‘আপনি যদি চুক্তি না করেন, তাহলে রাশিয়া ও যুদ্ধে অংশ নেওয়া অন্য দেশের বিরুদ্ধে চড়া হারে কর, শুল্ক বসানো ও আরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা ছাড়া আমার সামনে কোনো বিকল্প থাকবে না।’

ট্রাম্প বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট থাকলে এই যুদ্ধ শুরুই হতো না। এখন এটা বন্ধ করুন। আমরা সহজ বা কঠিন রাস্তায় হাঁটতে পারি। সহজ রাস্তা সবসময়ই ভাল। তাই চুক্তি করার পক্ষে এটাই সেরা সময়। আর কোনো জীবন যেন নষ্ট না হয়।’

নির্বাচনী প্রচারের সময় ট্রাম্প অবশ্য বলেছিলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলে যুদ্ধ বন্ধ করে দেবেন। কিন্তু কীভাবে যুদ্ধ বন্ধ হবে তা তিনি বলেননি।

এখন আরও নিষেধাজ্ঞা বলতে ট্রাম্প কী বোঝাচ্ছেন, সেটাও স্পষ্ট নয়। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলো ইতোমধ্যেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এটাও স্পষ্ট হয়নি ইউক্রেনকে যে লাখ লাখ ডলারের সামরিক সাহায্য দেয় যুক্তরাষ্ট্র, তার কী হবে? ইউক্রেনের বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।

এদিকে, জাতিসংঘে রাশিয়ার সহকারী রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি পলিয়ানস্কি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের সঙ্গে কোনোরকম আলোচনা ছাড়াই যুদ্ধ শেষ করার চুক্তি বলতে ট্রাম্প কী বোঝাচ্ছেন, সেটা জানা দরকার। আমাদের জানা দরকার, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে চুক্তির অর্থ কী? এটা তো শুধু যুদ্ধ বন্ধের প্রশ্ন নয়। প্রথম ও সবচেয়ে জরুরি প্রশ্নটা হলো, যে কারণে ইউক্রেন সংকট শুরু হয়েছিল সেটা।’

তিনি জানিয়েছেন, ‘রাশিয়া-বিরোধী মনোভাব নেওয়ার জন্য ট্রাম্প দায়ী নন। তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ-প্রস্তুতি নেননি। কিন্তু এখন ওই নীতি বদলের ক্ষমতা তার হাতে রয়েছে।’

NC