ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে বুধবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) ভোর পর্যন্ত দফায় দফায় ভয়াবহ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। এতে চার শিশুসহ অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ৩৮ জন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর রাজধানী ইউনিটের শীর্ষ কমান্ডার তাইমুর তাকাচেঙ্কো এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। হামলার নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কিও।
এক্সে দেওয়া বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, আলোচনার টেবিলের পরিবর্তে রাশিয়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বেছে নিয়েছে। যুদ্ধ থামানোর বদলে তারা হত্যাকাণ্ড অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রুশ হামলায় কিয়েভের অন্তত ১৩টি এলাকায় আবাসিক ও অন্যান্য ভবন আংশিক বা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও মানুষ আটকে থাকতে পারেন বলে ধারণা করছে ইউক্রেনের দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তর। তারা স্থানীয় সময় সকাল থেকে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, এক রাতেই রাশিয়া কিয়েভে ছুড়েছে ৫৯৮টি ড্রোন ও ৩১টি ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। এর মধ্যে ৫৬৩টি ড্রোন এবং ২৬টি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে।
তাইমুর তাকাচেঙ্কো বলেন, রাশিয়া বিভিন্ন দিক থেকে সম্মিলিতভাবে হামলা চালিয়ে থাকে। এবার তারা আবাসিক ভবনগুলোকেই প্রধান টার্গেট করেছে।
স্থানীয়রা বলছে, বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে কিয়েভের আকাশ। ভোরের আলো ফোটার আগেই অনেক এলাকা ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। ধ্বংস হওয়া ভবনগুলোর নিচে নিখোঁজদের সন্ধানে কাজ করছে উদ্ধারকারী দল।
এটি চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অন্যতম ভয়াবহ হামলার একটি বলেই মন্তব্য করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।
প্রাণঘাতী এইডসের টিকা তৈরিতে রাশিয়ার অগ্রগতি
যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ৩, আহত ২০