ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

মহাকুম্ভে যাওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি, নয়াদিল্লি স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে নিহত ১৮

কেউ কেউ দাবি করতে থাকেন, দু’টি ট্রেন বাতিল হয়ে গেছে। ফলে ভিড়ের মধ্যে দমবন্ধকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। অনেকেই দাবি করেন, পদপিষ্টের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায় ওই দুই প্ল্যাটফর্মে। 

আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৫৬ পিএম

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি রেল স্টেশনে যাত্রীদের ধাক্কাধাক্কির মধ্যে পড়ে ১৫ নারী-শিশুসহ কমপক্ষে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে নয়াদিল্লি রেলওয়ে স্টেশনে কুম্ভমেলার পুণ্যার্থীদের ভিড়ে এ ঘটনা ঘটে। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে এ তথ্য জানা গেছে।

খবরে জানা গেছে, শনিবার রাতে মহাকুম্ভের জন্য নয়াদিল্লি রেলওয়ে স্টেশনে নির্ধারিত দুটি ট্রেনের সময় বিলম্বিত হওয়ায় যাত্রীদের ভিড় ও ধাক্কাধাক্কির সৃষ্টি হয়। এ সময় ১১ নারী ও চার শিশুসহ কমপক্ষে ১৮ জন মারা গেছেন বলে রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

মূলত প্রথমে ১৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। পরে দিল্লি পুলিশ ১৮ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। এছাড়াও দিল্লির এলএনজেপি হাসপাতালের চিফ ক্যাজুয়ালটি মেডিকেল অফিসার প্রাণহানির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

জানা গেছে, ভারতীয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এই ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ১০ লাখ রুপি, গুরুতর আহতদের জন্য আড়াই লাখ রুপি এবং সামান্য আহতদের জন্য ১ লাখ রুপি করে আর্থিক সহায়তা ঘোষণা করেছে।

রেলওয়ে সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, শনিবার রাতে নয়াদিল্লি স্টেশনের ১৩ এবং ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে কুম্ভমেলার পুণ্যার্থীদের ভিড় ছিল। ওই দুই প্ল্যাটফর্মে ট্রেন আসতে দেরি হচ্ছিল বলেও যাত্রীদের অভিযোগ। কেউ কেউ দাবি করতে থাকেন, দু’টি ট্রেন বাতিল হয়ে গেছে। ফলে ভিড়ের মধ্যে দমবন্ধকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। অনেকেই দাবি করেন, পদপিষ্টের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায় ওই দুই প্ল্যাটফর্মে। যদিও ভারতীয় রেলের দাবি এই সবই গুজব ছিল।

এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, পদপিষ্টের ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা কররছি। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছে প্রশাসন।

রেল পুলিশের ডিসি বলেন, প্রয়াগরাজ এক্সপ্রেস ১৪ নম্বর স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিল। স্টেশনে বিপুল সংখ্যক মানুষের ভিড় ছিল সেই সময়ে। স্বতন্ত্র সেনানি এক্সপ্রেস এবং ভুবনেশ্বর রাজধানী এক্সপ্রেস দেরিতে ছিল। তাই ওই দুই ট্রেনের যাত্রীরাও ১২, ১৩ এবং ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করছিলেন। ১৫০০ জেনারেল টিকিট বিক্রি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সেই কারণেই ভিড় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সূত্র: এনডিটিভি

SN/AHA
আরও পড়ুন