চলমান জল্পনা-কল্পনার মধ্যেই মোদী-ট্রাম্পের ফোনালাপ

আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৫২ এএম

ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি এবং শুল্ক নিয়ে চলমান জল্পনা-কল্পনার মধ্যেই টেলিফোনে গুরুত্বপূর্ণ আলাপচারিতায় অংশ নিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত এই ফোনালাপে দুই নেতা বাণিজ্য, প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রসারের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

এক দাপ্তরিক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দুই নেতা ভারত-মার্কিন কৌশলগত অংশীদারত্বের বর্তমান অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছেন। তারা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। আলোচনায় বিশেষভাবে বাণিজ্যের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, প্রধানমন্ত্রী মোদী ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে যৌথ প্রচেষ্টার গতি ধরে রাখার বিষয়ে একমত হয়েছেন। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং উভয় দেশের অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো এগিয়ে নিতে তারা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, দুই নেতা গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি, জ্বালানি, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা এবং অন্যান্য অগ্রাধিকারমূলক ক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রসারের বিষয়ে মতবিনিময় করেছেন।

ফোনালাপের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই আলোচনাকে ‘উষ্ণ ও আকর্ষণীয়’ বলে অভিহিত করেছেন। তবে সরকারি বিবৃতিতে বাণিজ্যের কথা উল্লেখ থাকলেও মোদী তার পোস্টে বিষয়টি সরাসরি উল্লেখ করেননি।

তিনি লিখেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে খুবই উষ্ণ ও আকর্ষণীয় আলোচনা হয়েছে। আমরা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছি এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছি। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র বৈশ্বিক শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধির জন্য একসঙ্গে কাজ করে যাবে।’

সম্প্রতি ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের মধ্যে কিছুটা অস্বস্তি লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে গত জুলাই মাসে রাশিয়া থেকে তেল কেনার জেরে ওয়াশিংটন নয়াদিল্লির ওপর ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করে। ভারত বারবার এই শুল্ক আরোপকে ‘অন্যায্য’ বলে দাবি করে আসছে। নয়াদিল্লির যুক্তি, রাশিয়ার তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা চীন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নও সেখান থেকে বিপুল পরিমাণে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কিনছে, তবুও কেবল ভারতের ওপর এই খড়গ নেমে এসেছে।

এমন পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে মোদী ও ট্রাম্পের এই ফোনালাপ দুই দেশের কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের বরফ গলাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

DR/AHA