বাংলাদেশের আকাশে চলতি হিজরি ১৪৪৭ সনের পবিত্র রজব মাসের চাঁদ দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এমনটা জানান ধর্ম উপদেষ্টা।
ইসলামে এই মাসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক। বছরের যে চারটি মাসকে আল্লাহ তাআলা শ্রেষ্ঠত্ব ও মাহাত্ম্য দিয়েছেন, সেই ‘আশহুরুল হুরুম’ বা সম্মানিত মাসের মধ্যে অন্যতম রজব মাস। ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে রজব মাসের যোগসূত্র ও সম্পৃক্ততা রয়েছে।
তিনি রজব মাস থেকেই রমজানের প্রস্তুতি শুরু করতেন এবং পুরো রজব মাসজুড়ে বরকতের দোয়া পড়তেন। রমজানের ইবাদতের প্রস্তুতি হিসেবে এবং নবীজির উম্মত হিসেবে আমাদেরও রজব মাসে দোয়াটি বেশি বেশি পাঠ করা সুন্নত ও বাঞ্ছনীয়।
রজব মাসের সেই প্রসিদ্ধ দোয়াটি হলো- اَللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِىْ رَجَبَ وَ شَعْبَانَ وَ بَلِّغْنَا رَمَضَانَ ‘আল্লাহুম্মা বারিকলানা ফি রজাবা ওয়া শা’বানা ওয়া বাল্লিগনা রমাদান।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আপনি রজব ও শাবান মাসকে আমাদের জন্য বরকতময় করুন এবং আমাদেরকে রমজান মাস পর্যন্ত (হায়াত দিন) পৌঁছে দিন।’ হজরত আনাস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) রজব মাস শুরু হলে এই দোয়া পড়তেন। (নাসায়ি: ৬৫৯; মুসনাদে আহমাদ: ২৩৪৬, আল-মুজামুল আওসাত: ৩৯৩৯)
রজব মাসে রমজানের প্রস্তুতি, দোয়া ও আমল
রজব, জিলকদ, জিলহজ ও মহররম মাসকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এই মাসগুলোয় যুদ্ধবিগ্রহ নিষিদ্ধ রয়েছে। এ কারণে আরব সংস্কৃতি অনুযায়ী, স্থানীয়রা এই মাসে যুদ্ধবিগ্রহ, অন্যায়-অপরাধ থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি বিশ্রামে সময় অতিবাহিত করত।
এরমধ্যে রজব মাসের ২৬ তারিখের রাতটি মুসলিমদের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। মহিমান্বিত এই রাতেই মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সাত আসমান পেরিয়ে মহান আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং উম্মতদের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নিয়ে ফেরেন।
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা রোববার