ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই: লাখো মানুষের পদযাত্রা

শুকিয়ে যাওয়া নদীর হাঁটুজলে নেমে চলছে জনতার প্রতিবাদ। ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মরে যাওয়া নদীতে ভিন্নধর্মী এ প্রতিবাদে হাজার হাজার মানুষের জমায়েত।

আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:২৫ পিএম

তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা, মহাপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন দাবিতে পদযাত্রা করেছেন তিস্তাপাড়ের লাখো মানুষ। উত্তরবঙ্গের ১১টি স্থানে একযোগে এই কর্মসূচি চলছে দুদিনব্যাপী। 

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে দেখা গেছে, শুকিয়ে যাওয়া নদীর হাঁটুজলে নেমে চলছে জনতার প্রতিবাদ। ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মরে যাওয়া নদীতে ভিন্নধর্মী এ প্রতিবাদে হাজার হাজার মানুষের জমায়েত। প্ল্যাকার্ডের বার্তায় ছিল, ভারতের আধিপত্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষের অবস্থান।

ভারতের উজানে একের পর এক বাধ নির্মাণ করে ভাটির দেশ বাংলাদেশকে পানি থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগে লালমনিরহাটের তিস্তা নদীতে পালিত হয়েছে এ কর্মসূচি। কৃষক-শ্রমিক-জনতার সঙ্গে অংশ নেন রাজনীতিবিদ, সামাজিক-সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষও।

স্থানীয়রা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ লড়াই চলবে। তাদের এ দাবি জনগণের দাবি, বঞ্চিত মানুষের দাবি।

দুদিনব্যাপী তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের দ্বিতীয় ও শেষ দিন মঙ্গলবার সকালে লালমনিরহাটের তিস্তা ব্রিজ থেকে শুরু হয় পদযাত্রা। লাখো জনতার অংশগ্রহণে প্রতিবাদ জানানো হয় আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করে ভারতের বাঁধ নির্মাণের। তিন কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে রংপুরের কাউনিয়া বাজারে ঘুরে আবারও লালমনিরহাটের তিস্তা ব্রিজে এসে শেষ হয় পদযাত্রা।

কর্মসূচিতে অংশ নেয়া নেতারা বলেন, ভারত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে অন্যায়ভাবে বাংলাদেশের মানুষকে ন্যায্য পানি থেকে বঞ্চিত করছে। তিস্তার পাওনা বুঝে না পেলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। আসবে কঠোর কর্মসূচি।

নেতারা দাবি জানান, আন্তর্জাতিক নদী আইনে বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্য বাংলাদেশ বুঝিয়ে দেয়া হোক। প্রতিবারই চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা থাকলেও এবার সেটার বাস্তবায়ন হতে হবে।

দুদিনব্যাপী এই কর্মসূচি চলছে উত্তরবঙ্গের ১১টি স্থানে। অংশ নিয়েছেন কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, রংপুর, লালমনিরহাট ও গাইবান্ধাসহ উত্তরের সব জেলার মানুষ।

দিনব্যাপী চলবে সাংস্কৃতিক, সামাজিক ছাড়াও গ্রামীণ খেলাধুলা। বিকেলে একযোগে ১১টি স্থানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ৪৮ ঘণ্টার এই প্রতিবাদ শেষ হবে মধ্যরাতে।

NC
আরও পড়ুন