সম্প্রতি গ্রিসে অদ্ভুত এক ঘটনা ঘটেছে। চ্যাটজিপিটির কারণে রীতিমতো বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন এক দম্পতি।
গ্রিক সিটি টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, চ্যাটজিপিটির কাছে নিজের দাম্পত্য সম্পর্কের মান জানতে চান এক গ্রিক নারী। ১২ বছর সংসার করার পরও স্বামীর প্রতি দিন দিন সন্দেহ বাড়ছিল ওই স্ত্রীর। স্বামী তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করছেন কি না, তাঁদের সম্পর্কে প্রেম অটুট কি না জানার জন্য চ্যাটজিপিটির আশ্রয় নেন তিনি।
চ্যাটজিপিটিতে স্বামী-স্ত্রী দুজনের ব্যবহৃত কফি কাপের ছবি আপলোড করে সম্পর্কের বিষয়ে জানতে চান ওই নারী। গ্রিসে ভবিষ্যদ্বাণীর শতাব্দী প্রাচীন এক রীতি রয়েছে, যেখানে কফি বা চা পাতা দেখে ভাগ্য বলা হয়। সেই রীতিতে সম্পর্কের মান জানতে চেয়েছিলেন স্ত্রী।
চ্যাটজিপিটির উত্তরে জানতে পারেন, তাঁর স্বামী বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত। খুব শিগগিরই তাদের সংসার ভাঙতে চলেছে। বয়সে ছোট এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে তাঁর স্বামীর। আর সেই তরুণীর নামের প্রথম অক্ষর ‘ই’। পরিবারের খুব ঘনিষ্ঠ সদস্য তিনি। এই তরুণীই তাঁর স্বামীর পরবর্তী সঙ্গী হতে চলেছেন।
চ্যাটজিপিটিতে এমন উত্তর পাওয়ার কয়েক দিন পরই ডিভোর্সের আবেদন করেন তিনি। স্বামীকে জানিয়ে দেন, তিনি আর সংসার করছেন না। এমনকি সন্তানদেরও জানিয়ে দেন ডিভোর্সের বিষয়ে।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ওই নারীর স্বামী। তিনি জানান, কয়েক বছর আগে এক জ্যোতিষীর কাছে গিয়েছিলেন স্ত্রী। জ্যোতিষীর কথা শুনেও নানা রকম ঝামেলা সৃষ্টি করেন। পরবর্তীতে ভুল ভাঙে। এবার কোনো আলোচনা না করে সোজা ডিভোর্সের পথে হাঁটলেন। এর পাল্টা আইনি পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান ওই ব্যক্তি।
