ভিটামিন ই (Vitamin E) শুধু ত্বক ভালো রাখে এমনটা ভাবলে ভুল করবেন। এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা আমাদের শরীরের কোষগুলোকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। বয়স বাড়ার প্রভাব কমানো থেকে শুরু করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন ই-এর রয়েছে অসাধারণ ভূমিকা।
চলুন জেনে নিই, কেন প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার রাখা জরুরি:
১. ত্বকের উজ্জ্বলতা ও বার্ধক্য প্রতিরোধে সহায়ক
ভিটামিন ই ত্বকের কোষগুলোকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে।
- এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে
- লিরেখা ও দাগ কমায়
- সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকেও ত্বককে সুরক্ষা দেয়
২. চুল পড়া কমায় ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
ভিটামিন ই চুলের স্ক্যাল্পে রক্ত চলাচল বাড়িয়ে চুলের গোঁড়া মজবুত করে।
- চুল পড়া কমে
- চুল হয় ঘন ও উজ্জ্বল
- চুলের আগা ফাটাও কমে যায়
৩. হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করে
এটি রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং রক্তনালীর কার্যকারিতা উন্নত করে।
- হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়
- ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ভিটামিন ই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে (ইমিউন সিস্টেম) শক্তিশালী করে তোলে।
- বারবার সর্দি-কাশি বা সংক্রমণের প্রবণতা কমে
৫. চোখ ও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষায় কার্যকর
ভিটামিন ই চোখের রেটিনার স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং বয়সজনিত চোখের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
- স্মৃতিশক্তি ঠিক রাখতে সহায়তা করে
- আলঝেইমার বা নিউরো ডিজেনারেটিভ রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে
ভিটামিন ই সমৃদ্ধ কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাবার:
- বাদাম (বিশেষ করে আমন্ড ও হ্যাজেলনাট)
- সূর্যমুখী বীজ
- পেঁপে
- পালং শাক
- অ্যাভোকাডো
- অলিভ অয়েল
- মাছ (যেমন স্যামন)
ভিটামিন ই হলো একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সুস্থতায় অপরিহার্য এক পুষ্টি উপাদান। দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় এর সমৃদ্ধ উৎসগুলো অন্তর্ভুক্ত করলেই শরীর থাকবে বেশি সজীব ও শক্তিশালী।
প্রিয় জনের সাথে সম্পর্ক খারাপ হয় যেসব কথায়
কিডনিতে পাথরের সমস্যা নিরাময়ের ৩ উপায়