ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে শিক্ষার্থীরা যে রায় দেবেন, তা প্রার্থীদের মেনে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ সমর্থিত প্যানেল ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’ এর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী আবু বাকের মজুমদার।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যে রায় দেবে, তা আমাদের মেনে নিতে হবে। এটাই যৌক্তিক এবং এটাই হবে। এর বাইরে কিছু হওয়ার সুযোগ নেই।’
সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন বাকের। তিনি বলেন, ভোটের প্রচার শুরুর দিন থেকে এখন পর্যন্ত আনন্দময় পরিবেশ আমরা উপভোগ করেছি। ভোটাররা আগ্রহ নিয়ে ভোট দিতে এসেছেন। আমরা আশা করছি, শিক্ষার্থীরা যোগ্য ব্যক্তিকে নেতৃত্বে আনবেন।
উল্লেখ্য, নির্বাচনে ২৮টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৭১ জন, যা ডাকসুর ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এর মধ্যে নারী ৬২ জন। অন্যদিকে, ১৮টি হলে ১৩টি পদে মোট ১ হাজার ৩৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এবারের নির্বাচনে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) ও ছাত্র অধিকার পরিষদ আলাদা প্যানেল দিয়েছে। বামপন্থি ছাত্র সংগঠনগুলো নির্বাচন করছে দুটি প্যানেলে। এ ছাড়া স্বতন্ত্রদের পূর্ণ ও আংশিক মিলিয়ে প্যানেল রয়েছে ১০টির মতো।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ২০ হাজার ৮৭৩ এবং ছাত্রী ভোটার ১৮ হাজার ৯০২ জন। আটটি কেন্দ্রের ৮১০টি বুথে প্রত্যেক ভোটারের ডাকসু ও হল সংসদের মোট ৪১টি পদে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকছে। সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এ ব্যালট যুদ্ধ বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা আট ঘণ্টা চলবে।
গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার গুরুত্বপূর্ণ ধাপ ডাকসু নির্বাচন: সাদিক কায়েম
হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে এজিএস প্রার্থী