গ্রীষ্ম মৌসুম ছাড়াও সবচেয়ে বেশি লক্ষনীয় ত্বকের সমস্যা হলো ব্রণ। যা বৃদ্ধি পায় অতিরিক্ত তেল, নিম্নমানের স্কিন কেয়ার পণ্য এবং অপরিচ্ছন্নতার কারণে। সবচেয়ে পীড়াদায়ক বিষয় হচ্ছে ব্রণ চলে গেলেও মুখে থেকে যায় দাগ, যা আমাদের সৌন্দর্য কমিয়ে দেয় এবং আত্মবিশ্বাসেও প্রভাব ফেলে।
শুধু বাহ্যিক যত্ন নিলেই হবেনা। ভেতর থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখলেই ত্বকে ফিরে আসবে স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা। তাই ত্বক ও রূপ বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্রণ ও এর দাগ দূর করতে আমাদের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা জরুরি।
সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বোল্ড স্কাইয়ের এক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে কিছু কার্যকর উপায় তুলে ধরা হয়েছে।
বাইরে থেকে যত্ন
ব্রণ আক্রান্ত স্থানে নিমপাতার পেস্ট ব্যবহার করুন। ব্রণের দাগ হালকা করতে নিয়মিত নারিকেল তেল ম্যাসাজ করবেন এবং নিয়মিত ঘুমাবেন।
ভেতর থেকে ত্বকের যত্ন

১. লেবুর রস
লিভার পরিষ্কার করে ও রক্ত থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সহায়ক। ফলে ত্বক হয় উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত।

২. পানি পান করুন বেশি
প্রতিদিন অন্তত তিন লিটার পানি পান শরীর থেকে টক্সিন বের করে ত্বককে রাখে সতেজ ও ব্রণমুক্ত।
৩. দই

অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণের কারণে দই ত্বকের ছিদ্র পরিষ্কার রাখে ও ব্রণ কমাতে সাহায্য করে।

৪. তরমুজ
ভিটামিন এ, বি ও সি সমৃদ্ধ তরমুজ ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে, ব্রণ প্রতিরোধ করে এবং পুরোনো দাগ হালকা করে।

৫. বাদামজাতীয় খাবার
সেলেনিয়াম সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করে এবং ত্বককে রাখে স্বাস্থ্যকর।

৬. আখরোট
আখরোটের লিনোলিক অ্যাসিড ত্বকের গঠন বজায় রাখে, বাড়ায় কোমলতা ও মসৃণতা।

৭. দুগ্ধজাত খাবার
কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবারে থাকা ভিটামিন এ ত্বকের সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।

৮. আপেল
পেকটিন সমৃদ্ধ আপেল ব্রণ প্রতিরোধে কার্যকর।

৯. করলা
তিতাজাতীয় খাবার, বিশেষ করে করলা, ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার রাখে ও ব্রণের ঝুঁকি কমায়।
১০. অয়েলি ও ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলুন

এ ধরনের খাবার ব্রণ বাড়ায় এবং পুরোনো দাগকে আরও গাঢ় করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই টিপসগুলো অনুসরণ করলে দ্রুতই আপনি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
রোদে পোড়া ত্বক থেকে মুক্তিতে করণীয়
তৈলাক্ত ত্বক ভালো রাখবেন যেভাবে
বর্ষাকালে ত্বক ভালো থাকবে কোন ফেসপ্যাক ব্যবহারে