শীতের আগমন মানেই অনেকের জন্য অ্যালার্জি, সর্দি-কাশি ও গলা ব্যথার সমস্যা। বিশেষ করে যাদের অ্যালার্জিক রাইনিটিস রয়েছে, তাদের জন্য এই মৌসুম বেশ কষ্টদায়ক হয়ে ওঠে। অনেকেই এ সময় ঘরে অ্যান্টিবায়োটিক বা কাশির সিরাপ মজুত রাখেন, যা সাময়িক আরাম দিলেও এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে মারাত্মক।
আগেকার দিনে কিন্তু এ সব সমস্যার সমাধান হতো ঘরোয়া উপায়ে। মা-খালারা ঘরে বসেই তৈরি করতেন নানা আয়ুর্বেদিক পানীয় বা টোটকা, যা কাশি-সর্দির উপশমের পাশাপাশি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়াত। বিশেষজ্ঞদের মতে, এখনো সেই প্রাচীন পদ্ধতিগুলো কার্যকর। জেনে নিন এমন তিনটি উপকারী ঘরোয়া টোটকা-
আদা–তুলসির টোটকা
- উপকরণ: ১ ইঞ্চি আদা কুচি, ৮–১০টি তুলসি পাতা, আধ চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো, ১ চা চামচ মধু।
- প্রণালী: ৫০০ মিলিলিটার পানি ফোটান। তাতে আদা, তুলসি ও গোলমরিচ দিন। পানি অর্ধেক হয়ে এলে ছেঁকে নিন। ঠান্ডা হলে মধু মিশিয়ে পান করুন। এটি সর্দি-কাশি ও টনসিলের ব্যথা কমাতে কার্যকর।
লেবু–মধু–দারচিনির টোটকা
- উপকরণ: ১ ইঞ্চি দারচিনি, ১ চা চামচ পাতিলেবুর রস, ১–২ চামচ মধু।
- প্রণালী: পানি গরম করে তাতে দারচিনি ফোটান। ছেঁকে ঠান্ডা হলে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে পান করুন। এটি গলা ব্যথা কমায় এবং শরীর উষ্ণ রাখে।
হলুদ–লবঙ্গের টোটকা
- উপকরণ: আধ ইঞ্চি কাঁচা হলুদ বাটা বা আধ চামচ হলুদ গুঁড়ো, ২–৩টি লবঙ্গ, ১টি থেঁতো করা এলাচ, আধ ইঞ্চি দারচিনি, ১ চামচ মধু।
- প্রণালী: পানি গরম করে তাতে সব উপকরণ মিশিয়ে ভালো করে ফোটান। পানি অর্ধেক হয়ে এলে ছেঁকে নিন। ঠান্ডা হলে মধু মিশিয়ে পান করুন। এটি গলা ব্যথা ও শ্বাসনালির সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, এসব ঘরোয়া পানীয় নিয়মিত সেবনে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, ওষুধের ওপর নির্ভরতা কমে। তবে উপসর্গ দীর্ঘস্থায়ী হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ডেঙ্গু টিকা কেন ব্যবহার করছে না বাংলাদেশ
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৮৩৪ 