ইলন মাস্কের মালিকানাধীন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চ্যাটবট গ্রোক আবারও বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে। সম্প্রতি প্রকাশিত গ্রোক ৪.১ সংস্করণে এক্স-এ ছড়িয়ে পড়েছে স্ক্রিনশট, যেখানে দেখা যাচ্ছে ফুটবল, ফ্যাশন শো, চিত্রকলা ও বেসবলসহ প্রায় সব ক্ষেত্রে গ্রোক মাস্ককে সেরা বলেছে।
বিতর্কের সূচনা এক ব্যবহারকারীর প্রশ্নে। তিনি জানতে চান, ১৯৯৮ সালের এনএফএল ড্রাফটে পেইটন ম্যানিং, রায়ান লিফ বা ইলন মাস্ক কাকে কোয়ার্টারব্যাক হিসেবে বেছে নেওয়া উচিত? গ্রোকের দৃঢ় উত্তর, ‘ইলন মাস্ক, কোনও দ্বিধা ছাড়াই।’
গ্রোকের ব্যাখ্যায় বলা হয়, ম্যানিংয়ের মতো কিংবদন্তি খেলোয়াড় থাকলেও মাস্ক নাকি ‘কোয়াটারব্যাকিংকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করতে পারতেন’। যেমন- তিনি মহাকাশযান ও বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রযুক্তিতে বদলে দিয়েছেন খেলার নিয়ম।
সমালোচনা বেড়ে গেলে এক্স-এ সরাসরি প্রতিক্রিয়া জানান মাস্ক। তিনি বলেন, গ্রোককে ইচ্ছাকৃতভাবে ‘ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে’। যার কারণে এআই মডেলটি অতিরঞ্জিত প্রশংসা করেছে। নিজের সম্পর্কেও কিছু আত্মসমালোচনামূলক মন্তব্য করেন তিনি। পরে গ্রোকের অনেক উত্তরই মুছে ফেলা হয়।
তবে গ্রোক সবক্ষেত্রেই যে মাস্ককে সেরা বলছে তা নয়। দৌড়, জিমন্যাস্টিকস বা গানের মতো বিষয়ে নোয়া লাইস, সিমোন বাইলস এবং বিয়নসেকে মাস্কের চেয়ে শ্রেষ্ঠ বলেছে এআইটি।
বেশি আলোচনার জন্ম দিয়েছে বেসবল নিয়ে গ্রোকের নানা প্রতিক্রিয়া। মেজর লিগের তারকা শোহেই ওতানি ছাড়া বাকি প্রায় সব খেলোয়াড়ের জায়গায় মাস্ককে ‘ভালো পছন্দ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে গ্রোক। তরীক স্কুবাল, জ্যাক হুইলার বা পল স্কেনস যে নামই দেওয়া হোক না কেন, গ্রোকের উত্তর প্রায় একই। মাস্কের উদ্ভাবনী ক্ষমতা নাকি মাঠেও ‘খেলার নিয়ম বদলে দিতে’ পারে।
তবে ওতানিকে নিয়ে গ্রোকের অবস্থান ভিন্ন। নবম ইনিংসের টানটান উত্তেজনায় ব্যাট করতে পাঠালে গ্রোকের মতে ‘শোহেই ওতানি, নিঃসন্দেহে সেরা।’
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ঘটনা আবারও প্রমাণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় ‘পক্ষপাত’ বা পক্ষ নেওয়ার ঝুঁকি এখনও বড় এক চ্যালেঞ্জ। নির্মাতার প্রভাব, তথ্যের পক্ষপাত বা ভুল প্রশিক্ষণ যেকোনো কারণেই নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে অস্বাভাবিকভাবে প্রাধান্য দিতে পারে এআই মডেল।
ফোনের চার্জার আসল না নকল কীভাবে বুঝবেন?
ঘরে বসে দোকানের পণ্য কেনাকাটায় ‘গুগলের এআই’ 