প্রিয় আঙিনার মায়া ছেড়ে কাজে ফিরছে কর্মজীবী মানুষ। আগামীকাল রোববার (১৫ জুন) থেকে সব সরকারি-বেসরকারি অফিসে কর্মযজ্ঞ শুরু হবে।
শনিবার (১৪ জুন) থেকেই রাজধানীতে ফিরছে নগরবাসী। ফলে রাজধানীতে বাড়ছে যান চলাচলের চাপ। শুক্রবার ছিল ছুটির নবম দিন। ঈদের লম্বা ছুটি কাটিয়ে রাজধানীতে ফিরছে মানুষ। সবাই পরিবার নিয়ে স্বস্তিতে কর্মস্থলে ফিরতে পারছেন। শুক্রবার গাবতলী বাস টার্মিনাল ও আমিনবাজার এলাকায় ভোর থেকেই বাড়তি চাপ ছিল।
রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলোতে মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। এছাড়া রিকশা, অটোরিকশা বা লোকাল বাসে করে নিজ নিজ গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হচ্ছে। এ সময় স্বাভাবিকের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি যাত্রীর ভিড় দেখা যায়।
হানিফ এন্টারপ্রাইজের মহাব্যবস্থাপক মোশারফ হোসেন বলেন, ভোরের দিকের বাসগুলোতে যাত্রীসংখ্যা একটু বেশি থাকে। এরপর সকাল ১০টা থেকে মোটামুটি বিকেল পর্যন্ত যাত্রীর চাপ কম। তবে সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত গাড়িগুলোতে স্বাভাবিক দিনের মতোই যাত্রী আছে।
দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে গাবতলী বাস টার্মিনালের সামনে সড়ক থেকে নির্দিষ্ট সময় পরপর বাসগুলো ছেড়ে যাচ্ছে। ৪০-৪৫ সিটের বাসগুলোতে ১৫-২০ জন করে যাত্রী দেখা যায়। আবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহনের বাড়তি চাপ দেখা গেছে। স্বাভাবিক রয়েছে যান চলাচল। কোনো যানজট দেখা যায়নি। ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কও অনেকটা স্বাভাবিক আছে।
কমলাপুরে ট্রেনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। করোনা সতর্কতায় কর্তৃপক্ষ মাইকিং করছে। তবে মাস্ক পরার নির্দেশনা মানছে না কেউ। গতকাল কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়। ট্রেনের সাধারণ নন-এসি বগিতে গাদাগাদি করে ঢাকায় আসছেন স্ট্যান্ডিং টিকিটের যাত্রীরা। কেউই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, বেলা ১১টা পর্যন্ত ঢাকা থেকে ছেড়েছে ২৩টি ও এসেছে ১৪টি ট্রেন। ট্রেনের সূচি প্রায় স্বাভাবিক আছে। শুধু রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন এক ঘণ্টা দেরিতে ছেড়েছে।
ঈদে ছুটি না পেয়ে এখনও ঢাকা ছাড়ছেন অনেকেই
রাজধানীতে র্যাব পরিচয়ে নগদ এজেন্টের টাকা ছিনতাই