ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

শরীয়তপুরে গণধর্ষণ ও হত্যায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

আপডেট : ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৬:২৫ পিএম

শরীয়তপুরে এক নারীকে গণধর্ষণের পর হত্যার দায়ে পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে শরীয়তপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সোহেল আহমেদ এ রায় ঘোষণা করেন। এ রায়ে মৃত্যুদণ্ড ছাড়াও প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় তিন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালতের নির্দেশে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর দুই আসামি পলাতক রয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- নিজাম বালী, মোহাম্মদ আলী, ওমর ফারুক বেপারী, আল আমীন বেপারী ও ইব্রাহীম মোল্লা। আসামিরা সবাই ডামুড্যা উপজেলার দক্ষিণ সুতলকাঠীর বাসিন্দা। 
 
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল বিকেল ৫টার দিকে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন ডামুড্যা উপজেলার ভূঁইয়া বাজার এলাকার ৫৫ বছর বয়সী নারী ফিরোজা বেগম। এরপর ২১ এপ্রিল উপজেলার বড় নওগাঁ এলাকার আব্দুর রহমান মাস্টারের বাড়ির পূর্বপাশে পরিত্যক্ত ডোবা থেকে ফিরোজা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন ওই নারীর ছোটভাই লাল মিয়া সরদার বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনকে আসামি করে শরীয়তপুর আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন।

পরে ২৮ এপ্রিল ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিজাম বালীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন ওমর ফারুক ও মোহাম্মদ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিদের মধ্যে পাঁচজন জড়িত থাকার বিষয়টি তদন্তে উঠে আসে। পুলিশ এই ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। অপর আসামিরা অব্যাহতি পায়। এদিকে গ্রেপ্তারকৃতরা ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণের পর হত্যার কথা আদালতে স্বীকার করেন। এই ঘটনায় অন্য দুই আসামি ইব্রাহিম ও আল-আমীন পলাতক আছেন।

বিচার চলাকালে ২২ জনের স্বাক্ষগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার দুপুরে শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হত্যা ও ধর্ষণ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট সানাল মিয়া বলেন, ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় এটি একটি যুগান্তকারী রায়।

SN
আরও পড়ুন