পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় বিপন্ন প্রজাতির কালোমুখো একটি হনুমান লোকালয়ে খাবারের সন্ধানে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বন্যপ্রাণী লোকালয়ে আসায় হনুমানটি দেখতে উৎসুক মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন। কেউ কেউ খাবারও দিচ্ছেন।
সবশেষ শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার লক্ষিপুরা মহল্লায় দেখা মেলে কালোমুখো হনুমানটির।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. দিদার মাহমুদ এবং মো. হানিফ জানান, গত বুধবার দুপুর ১২টা নাগাদ হনুমানটি বেপারী বাড়ি দেয়ালের ওপর অবস্থান নেয়। প্রায় আধাঘণ্টা সেখানেই বসেছিল। এতে গ্রামের উৎসুক মানুষ ভিড় জমায়। কেউ কেউ এটিকে বানর, কেউ কেউ উল্লুকও মনে করেছে। এ সময় হনুমানটিকে অনেকেই কলা খেতে দেন। তবে শিশু আর কৌতূহলী মানুষের চিৎকার চেঁচামেচিতে হনুমানটি বিরক্ত হয়ে একপর্যায়ে ছোটাছুটি শুরু করে।
ভ্যানচালক মো. মাসুম জানান, বাণিজ্যিক শহর ভান্ডারিয়া থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় কৃষিসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি হয়। খাবার খেতে গিয়ে ফল কিংবা সবজির ট্রাকে উঠে হনুমানটি এখানে আসতে পারে। হনুমানটিকে উদ্ধার করে বনে ছেড়ে দেওয়ার দাবি তার।
বর্তমানে দেশে বিপন্ন প্রাণীদের তালিকায় স্থান পাওয়াদের মধ্যে একটি কালোমুখো হনুমান। এরা দলবদ্ধ হয়ে বসবাস করা বৃক্ষচারী শান্তিপ্রিয় প্রাণী। তবে লোকালয়ে প্রায়ই কালোমুখো হনুমানকে খাবারের সন্ধানে ছোটাছুটি করতে দেখা যায়।
উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. সফিউর রহমান জানান, হনুমানটি দলছুট হয়ে লোকালয়ে আসা হনুমানের কোনো ক্ষতি বা বিরক্ত না করতে সবার প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। অবশ্য এটি কারও কোন ক্ষতি করছে না। বন বিভাগের খুলনা একটি দপ্তর বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করে বিষয়টি তাদের অবহিত করলে তারা, এটির ব্যবস্থা নেবে।
উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুদেব সরকার বলেন, শুক্রবার কালোমুখো হনুমান লোকালয়ে আসার খবর পেয়েছি। পণ্যবাহী ট্রাক বিশেষ করে কলার বোঝাই ট্রাকে চলে আসে। বিষয়টি বন বিভাগের, তারা যদি আমাদের সহযোগিতা চায় তাহলে সহযোগিতা করা হবে।
ভান্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেহেনা আক্তার বলেন, খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে ঘুরছে কালোমুখো হনুমানটি। দ্রুত এবং ঘনঘন স্থান পরিবর্তন করার ফলে প্রাণীটিকে উদ্ধার করা কঠিন হলেও স্থানীয়দের সহায়তায় এটি উদ্ধারের উদ্যোগ নিয়েছি।
লোকালয়ে হনুমান, মানুষের সঙ্গে গড়ছে সখ্যতা
ধরা পড়লো বিরল প্রজাতির ‘সজারু মাছ’, হয়নি বিক্রি