ঢাকা
সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

সিএসটিইউর প্রস্তাবিত ভূমি অধিগ্রহণ বাতিল

আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৫৩ পিএম

অনিয়ম ও অভিযোগে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিএসটিইউ) ভূমি অধিগ্রহণ বাতিল করেছে জেলা প্রশাসন। জোর করে দখল করা জমি ফেরত চাইছেন মালিকরা। দ্রুত স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবি শিক্ষার্থীদের।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, আমি চাঁদপুরে যোগদানের আগেই ভূমি অধিগ্রহণ প্রস্তাব বাতিল করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৬২ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়। অভিযোগ তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের আলোচিত সাবেক চেয়ারম্যান সেলিশ খান জোরপূর্বক অনেক পরিবারকে জমি বিক্রি করতে বাধ্য করেন। এই বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর ভূমি অধিগ্রহণ বাতিল করে প্রশাসন।

ভুক্তভোগী জমির মালিক কালু খান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় করার নাম করে আমার কাছ থেকে প্রায় ৫০ শতাংশ জমি জোরপূর্বক নিয়ে গেছে সেলিম খান। তার লোকজন দিয়ে আমাকে ধরে এনে এবং অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জমি লিখে নেয়। দাম হয়েছে ৩৭ লাখ টাকা, দিয়েছে ১২ লাখ টাকা। আমি জমি ফেরত চাই।

লক্ষ্মীপুর গ্রামের মো. কাজল ও হাবিবুর রহমান বলেন, আমাদের বসত বাড়ি ছিল। সেলিম চেয়ারম্যান দীপু মনির প্রভাব খাটিয়ে আমাদের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য করে। কিন্তু এখনত আর বিশ্ববিদ্যালয় হলো না। আমাদের বসত ঘর আমরা ফেরৎ চাই।

তারা বলেন, এলাকার বহু পরিবার নিজবাড়ি থেকে চলে যেতে হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় করার জন্য বহু বসতভিটা ও ফসলি জমি বালু দিয়ে ভরাট করেছে। ওইসব জমি এখন পড়ে আছে।

এদিকে চাঁদপুর শহরের ওয়াবদাগেট খলিশাডুলি এলাকায় অস্থায়ী ক্যাম্পাসে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চলছে।

স্থায়ী ক্যাম্পাস দাবি করে শিক্ষার্থী মো. সিয়াম ও নিহাল বলেন, যতদ্রুত সম্ভব বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের ব্যবস্থা করা এবং জমি বরাদ্দ দেয়া হউক।

চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মোহসীন উদ্দিন বলেন,অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।  আগে যে স্থানে ভূমি অধিগ্রহণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে তা বাতিল করা হয়েছে। ওই জায়গায় আর বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে না। তাছাড়া নতুন করে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা মন্ত্রণালয় থেকে কোনো নির্দেশনা পাইনি।

২০১৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১৯ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিসভা। সংসদে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে বিল পাস হয় ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর। ২০২৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে তিন বিভাগের দুই ব্যাচে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৮০ জন।

RA/FI