রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে গোপন মিটিংয়ে নাশকতার পরিকল্পনার সময় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের চার সদস্যকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা।
সোমবার (৪ আগস্ট) দিবাগত রাতে মুসলিম ব্লক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এসময় আরও বেশ কয়েকজন দৌড়ে পালিয়ে যায় বলে জানা যায়।
বাঘাইছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মো: হুমায়ুন কবির জানান, আটককৃত চারজন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সক্রিয়কর্মী। তারা মেসেঞ্জার গ্রুপ খুলে নাশকতার পরিকল্পনা করছিলো; তাদের জিজ্ঞাসাবাদে ও মোবাইল ফোনের কথোপকথনের সত্যতা পাওয়া গেছে। তাদের চারজনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আগামীকাল সকালে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন ওসি।
আটককৃতরা হলেন, মুসলিম ব্লক গ্রামের মো. বাদল (পিতা মো. আলী আহমেদ), মো. ওমর ফারুক (পিতা মো.মাসুদ), মো. সাকিব (পিতা মো. মনির হোসেন) ও মো. সাদ্দাম হোসেন (পিতা মো. দেলোয়ার হোসেন)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৫ থেকে ২০ জনের একটি ছাত্রলীগের গ্রুপ গোপনে দীর্ঘদিন ধরে ফেসবুক মেসেঞ্জার ও হোয়াসআপ প্ল্যাটফর্মে সংগঠিত হয়ে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। শুরুতে এই গ্রুপের নাম ছিল ‘মুসলিম ব্লক ছাত্রলীগ’ পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন করে ‘ইনশাআল্লাহ’ রাখা হয়।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, গত বছর ৫ই আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকার পালিয়ে গেলে আটককৃত ব্যক্তিরাই মুসলিম ব্লক এলাকায় আওয়ামী লীগের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে অগ্নিসংযোগ চালায়।
