ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

মাদারীপুরের দুর্গম চরে বাড়িঘর ভাঙচুর-লুটপাট-বোমা বিস্ফোরণ

আপডেট : ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২:৩৩ পিএম

মাদারীপুরে অবৈধ বালু উত্তোলনের প্রতিবাদ করায় ৪টি বসতঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলার পাশাপাশি হাত বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের দুর্গম চরাঞ্চলের হোগল পাতিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এলাকাটি দুর্গম চরাঞ্চলে হওয়ায় চরের বাসিন্দারা রয়েছে চরম আতঙ্কে। নদী ও কাচা রাস্তা পাড় হয়ে যেতে কয়েক ঘন্টা সময় লেগে যায়। এতে এই এলাকা হয়ে উঠেছে সন্ত্রাসীদের অভয়াশ্রম। এই কারণে চরাঞ্চলের চাঁদাবাজির ঘটনাও ঘটছে অহরহ।

স্থানীয়দের দাদি, এখানে পুলিশ যেতেও ভয় পায়। এই এলাকা থেকে প্রতি রাতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার অবৈধ বালু উত্তোলন করে আসছে ঝাউদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম আবুল। বালু উত্তোলনের ফলে আড়িয়াল খাঁ নদে সম্প্রতি ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদ করেছিলেন চরের বাসিন্দারা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চরাঞ্চলের মানুষ চাঁদা না দেওয়ায় ঝাউদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হোসেনের নেতৃত্বে শামিম আকন, মিরাজ আকনসহ ৭০-৮০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সেখানে হামলা চালায়।

হামলাকারীরা আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য গতকাল রাতে দুর্গম চরের বাসিন্দা আক্তার বেপারী, গিয়াস বেপারী ও জলিল বেপারীর পরিবারের ৪টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে। সেই সঙ্গে অর্ধশত বোমা বিস্ফোরণ ঘটনায়। এ সময় নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ মূল্যবান সামগ্রী লুটে নেয় তারা। বোমার বিস্ফোরণের ঘটনায় আশপাশের এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। 

ক্ষতিগ্রস্ত আক্তার বেপারী বলেন, ওরা আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। ঘরের দরজা-জানালা ভেঙে সব কিছু লুট করে নিয়ে গেছে। বোমা নিক্ষেপ করেছে। আমাদের কোনো নিরাপত্তা নেই, প্রশাসনের কাছে আমরা বিচার চাই।

স্থানীয় এক নারী জানান, দলবেঁধে ৭০-৮০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল এসে প্রথমে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। বাড়ির পুরুষ সদস্যরা পালিয়ে প্রাণে বাঁচে। তারপর চালায় লুটপাট ও ভাঙচুর। এরা প্রতিদিন নদী থেকে লাখ লাখ টাকার অবৈধ বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে।

তবে নানা অভিযোগের বিষয় বক্তব্য নিতে অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের বাড়ি গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার ফোনও বন্ধ রয়েছে।

এ বিষয়ে মাদারীপুর সদর থানার ওসি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, খবর পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

NJ
আরও পড়ুন