জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারীর মাহফিলকে ঘিরে লালমনিরহাটে ১০ লাখ মানুষের সমাগমের জন্য চারটি মাঠ প্রস্তুত করা হয়েছে।
লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম বলেন, মাহফিলে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রস্তুত রয়েছে আনসার, পুলিশ র্যাবসহ সেনাবাহিনীর সদস্যরা। আয়োজকদের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক থাকবে প্রায় ৫ হাজার।
মাহফিলে নারীদের স্বর্ণের অলংকার সঙ্গে না আনার আহ্বান জানান তিনি।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) জোহরের নামাজ শেষে ইসলামিক সোসাইটি লালমনিরহাট এর আয়োজনে ঐতিহাসিক ওই মাহফিলে বয়ান করবেন তিনি।
‘তুমি-আপনি’র ব্যাখ্যা দিলেন আজহারীজেলা শহরের সবচেয়ে বড় সোহরাওয়ার্দী মাঠে থাকবে মূল মঞ্চ। এছাড়া পুরুষদের জন্য পার্শ্ববর্তী কালেক্টরেট মাঠ ও পিসি স্কুল মাঠ এবং নারীদের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে জেলা স্টেডিয়াম মাঠ। সব মাঠেই থাকবে প্রজেক্টরের ব্যবস্থা। মাহফিল ঘিরে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা। মোতায়েন থাকবে বিপুলসংখ্যক আনসার, পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীসহ মাহফিল আয়োজকদের স্বেচ্ছাসেবক টিম।
আয়োজক কমিটি জানান, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে দেশের বাইরে নির্বাসিত ছিলেন বিশ্ববরেণ্য মুফাসসির ড. মিজানুর রহমান আজহারী। গত ৫ আগস্ট দেশ থেকে শেখ হাসিনা সরকার পালিয়ে গেলে দেশে ফিরে আসেন তিনি। এরপর দেশের মানুষের আগ্রহে বিভিন্নস্থানে মাহফিল শুরু করেছেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় লালমনিরহাটে মাহফিল করবেন তিনি।
মাহফিলের হট্টগোলে মেজাজ হারালেন আজহারী!সরেজমিনে জানা যায়, ঐতিহাসিক এ মাহফিল সফল করতে মঞ্চ প্রস্তুতের কাজ প্রায় ৯৮ শতাংশ শেষ করেছেন আয়োজকরা। এ ছাড়া সব ধরনের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করা হয়েছে। আয়োজক কমিটির সঙ্গে জেলা প্রশাসনের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে জননিরাপত্তার বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সব ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে যাবে মাহফিল ও তার আশপাশের এলাকা। নিরাপত্তায় থাকবে বিপুল সংখ্যক আনসার ও পুলিশ সদস্য। থাকবে র্যাব ও সেনাবাহিনী সদস্যদের টহল। সাদা পোশাকে থাকবে পুলিশ সদস্য। এছাড়াও আয়োজক কমিটির নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন প্রায় ৫ হাজার। সব মিলিয়ে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখা হবে পুরো শহর।
পটুয়াখালীতে ওয়াজ করবেন আজহারীআয়োজক কমিটির সদস্য ইমাম রাশেদুল ইসলাম লিজু বলেন, মূল প্যান্ডেলের প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি পাঁচ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। মাঠের প্রবেশপথেই তল্লাশি চালানো হবে।
