দেশের বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। আমদানি অনুমতি পাওয়ার পর গত ১২ আগস্ট থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে শুরু হয় চাল আমদানি।
তবে আমদানি হলেও শুল্ক জটিলতায় বন্দর থেকে চাল খালাস করতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। অবশেষে সোমবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে ৫৯.৫০ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ২ শতাংশ এআইটি নির্ধারণ করে দেয় এনবিআর। এতে স্বস্তি ফিরতে শুরু করে ব্যবসায়ীদের মাঝে।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিকেল ৩টায় পারমিতা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বিল অফ এন্টি দাখিল করে চাল খালাস কার্যক্রম শুরু করে। প্রতি মেট্রিকটন ৫২৫ ডলারে শুল্কায়ন হচ্ছে এসব আমদানিকৃত চাল।
চাল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান পারমিতা এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি রাসেদ ফেরদৌস বলেন, কাস্টমসের সার্ভারে ২ শতাংশ এআইটি দিয়ে আমরা চাল খালাস শুরু করেছি। ইতিমধ্যে আমাদের প্রতিষ্ঠানের দুইটি ট্রাক থেকে চাল খালাস শুরু হয়েছে। ৫২৫ মার্কিন ডলারে প্রতি মেট্রিকটন চাল শুল্কায়ন করা হচ্ছে। চালের দাম কয়েকদিনের মধ্যে কমে আসবে দেশের বাজারে।
বন্দরের চাল ব্যবসায়ী নেজাম বলেন, আজ বিকেল থেকে চাল খালাস শুরু হয়েছে। চাল ক্রয়ের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা এসেছেন। আজ আমি আমদানিকৃত ৯০ টন সম্পা কাটারি চাল ক্রয় করেছি এটা ঢাকায় যাবে। প্রতিকেজি চাল ক্রয় করেছি ৬৯ টাকা কেজি দরে। চালের আমদানি যত বাড়বে দাম তত কমবে বলেও জানান তিনি।
হিলি স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন বলেন, চাল আমদানি বেশ কয়েকদিন আগেই শুরু হয়েছে। তবে গতকাল পর্যন্ত সার্ভারে শুল্ক সংক্রান্ত জটিলতার কারণে কেউ বিল অফ এন্টি দাখিল করেনি। সেই জটিলতা এখন নেই। চাইলে আমদানিকারকরা চাল খালাস করতে পারবেন। ইতিমধ্যে ২/১ জন বিল অফ এন্টি দাখিল করেছে। বন্দর থেকে চাল খালাস শুরু হয়েছে। যেহেতু বেশ কয়দিন থেকে চালগুলো বন্দরে পড়ে আছে, তাই দ্রুত পরীক্ষণ, শুল্কায়ন কার্যক্রম করার চেষ্টা করছি। যাতে আমদানিকারকরা বাজারে চালগুলো দ্রুত সরবরাহ করতে পারে।
হিলি কাস্টমসের তথ্যমতে, গেলো ১২ আগস্ট হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১৪০টি ভারতীয় ট্রাকে প্রায় ৬ হাজার মেট্রিকটন চাল আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে।
পটুয়াখালীতে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত