ঢাকা
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতাল বন্ধে ভোগান্তিতে সাধারণ রোগীরা

আপডেট : ৩১ মে ২০২৫, ০৫:৪৩ পিএম

টানা চার দিন ধরে বন্ধ রয়েছে রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল সেবা কার্যক্রম। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জুলাই আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে হাসপাতালের কর্মচারীদের সংঘর্ষের জেরে হাসপাতালে সেবা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।  

শনিবার (৩১ মে) জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতাল ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। দেশের প্রধান এই চক্ষু সেবা কেন্দ্র বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন হাসপাতালে ভর্তি ও সেবা নিতে আসা শত শত সাধারণ রোগী।

সরজমিনে দেখা যায়, চক্ষু হাসপাতালের প্রধান দুই গেট তালাবদ্ধ। পাশের পকেট গেটে অবস্থান করছেন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা গার্ডরা। তারা আগত সেবা প্রত্যাশীদের নানাবিধ প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন। এছাড়া হাসপাতালের সব সেবা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। হাসপাতালে নেই কোনো চিকিৎসক ও নার্স। হাসপাতাল ভবনের গেটে অবস্থান করছেন পুলিশ ও নিয়মিত গার্ডরা। গেটের সামনে বেঞ্চ ফেলে বসে আছেন তারা। সাথে জুলাই অভ্যুত্থানে আহত বেশ কয়েকজনকেও অবস্থান করতে দেখা গেছে। 

হাসপাতালে চিকিৎসক-নার্স ও কর্মকর্তা কর্মচারী কেউ না থাকলেও এখনও রয়েছেন জুলাই আন্দোলনে আহতরা। বন্ধ হওয়ার আগে মোট ৫৫ জন জুলাই আহত হাসপাতালটিতে ভর্তি ছিল।  তবে বর্তমানে হাসপাতালটিতে মোট ৮০ জন জুলাই যোদ্ধা রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন আরও ৪০ থেকে ৫০ জন সাধারণ রোগী।

চার দিন হাসপাতাল বন্ধ থাকলেও চক্ষু বিজ্ঞানে এখনও শতাধিক রোগী ভর্তি রয়েছে। এদের বড় অংশই জুলাই যোদ্ধা। তারা বলছেন, হাসপাতালে থাকা বেশিরভাগ সাধারণ রোগীই চলে গেছে। অল্প কয়েকজন রয়েছে। যাদের অন্য কোথাও যাওয়ার মতো অবস্থা নেই। আমরা চাই, ডাক্তার নার্সরা ফেরত আসুক। আমাদের জন্য না হলেও সাধারণ রোগীদের জন্য আসুক।

রিপা আক্তার নামে এক রোগীর স্বজন বলেন, ‘রোগী নিয়ে হাসপাতালে পড়ে আছি। ডাক্তার-নার্স কেউ নেই। কোনো ওষুধও দিচ্ছে না। রোগীর এমন অবস্থা যে নিয়ে যেতেও পারছি না। আমরা চাই দ্রুত সব স্বাভাবিক হোক।’

হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা গার্ডরা বলেন, কবে হাসপাতাল চালু হবে বা খুলবে এ বিষয়ক কোনো তথ্য নেই। এ বিষয়ে হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা বলতে পারবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক বলেন, নিরাপত্তা শঙ্কায় কেউ কাজে আসতে চাচ্ছে না। সরকারের উচ্চ মহলের দিকে তাকিয়ে আছে। উনারা বললে, চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজে যোগ দেবে।

এ বিষয়ে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জানে আলমের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট দেশের চক্ষু চিকিৎসায় সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান। ফলে সারাদেশ থেকেই রোগীরা হাসপাতালটিতে আসেন। টানা চারদিন বন্ধ থাকায় শত শত রোগী প্রতিদিন হাসপাতাল এসে ফিরে যাচ্ছে। 

FJ
আরও পড়ুন