ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

তীব্র গরমে শরীর শীতল রাখবে যেসব পানীয়

আপডেট : ১৩ মে ২০২৫, ১০:৪৫ এএম

তীব্র গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। এমন গরমে দীর্ঘ সময় রোদে থাকলে হিটস্ট্রোক হয়ে অসুস্থ হতে পারে যে কেউ। শিশু ও বয়স্কদের ঝুঁকি আরও বেশি। এমন গরমে পানিশূন্যতা দেখা দেয় শরীরে। তাই তীব্র গরমে যেসব পানীয় আমাদের শরীর শীতল রাখে এবং পানিশূন্যতা রোধ করে এমন কিছু পানীয় সম্পর্কে জেনে নিন এই প্রতিবেদনে।

লেবুর শরবত
লেবুর শরবত হলো গরমের সময়ে অন্যতম পরিচিত প্রাকৃতিক পানীয়। ১০০ গ্রাম লেমনেডে ২৯ ক্যালোরি, ১.১ গ্রাম প্রোটিন, ২.৫ গ্রাম চিনি, ২.৮ গ্রাম ফাইবার এবং ৯.৩ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। প্রচণ্ড গরমে লেবুর শরবত পান করলে শরীর সতেজ এবং আরো বেশি কর্মদ্যোমী হয়ে উঠে। এক গ্লাস লেবুর শরবত গরমে শরীরের পানি স্বল্পতা দূর করে আমাদের এনে দেবে প্রশান্তি। লেবুতে থাকা ভিটামিন ‘সি’ এপিনেফ্রিন হরমোনকে উদ্দীপ্ত করে, যা নার্ভ স্টিমুলেশনে সাহায্য করে।

আম পান্না ড্রিংক
গরমে আম পাওয়া যায়। শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য কাঁচা আম অনেক উপকারী। এ জন্য প্রথমে কাঁচা আম সিদ্ধ করে নিন। তাতে এবার পরিমাণমত লবণ, পানি, চিনি ও মসলা দিয়ে জাল করলেই হয়ে যাবে আম পান্না। চাইলে কয়েকটি পুদিনা পাতার কুঁচিও মেশাতে পারেন।

ডাবের পানি
গরমের সময়ে ডাবের পানি হতে পারে আপনার জন্য উপযুক্ত পানীয়। এক কাপ ডাবের পানিতে থাকে ৬০ ক্যালোরি, ১৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৮ গ্রাম চিনি এবং পর্যাপ্ত পটাসিয়াম। ডাবের পানিতে ৯৪% পানি থাকে। ডাবের পানি মিনারেলের ভালো উৎস। ঘামের মাধ্যমে শরীরে যে পানিশূন্যতা তৈরি হয়, তা রোধ করে শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। ডাবের পানি উচ্চ পটাসিয়ামযুক্ত হওয়ায় প্রেসার কমাতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিক রোগীরা নিশ্চিন্তে ডাবের পানি পান করতে পারেন। কারণ ডাবের পানি ব্লাড সুগার বাড়ায় না।

আঙুরের রস
আঙুরের রসের সাথে মধু আর বরফ মিশিয়ে খেলেও গরমে আরাম পাবেন। পাবেন শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি। আবার শরীরকে ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা দূর করতেও এই পানীয়ের জুড়ি মেলা ভার।

তেঁতুল-গুড়ের শরবত
তেঁতুলে উচ্চ পটাসিয়াম থাকে, যা শরীরে পানি ধরে রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে ম্যাগনেসিয়াম ও আয়রনের বেশ ভালো উৎস। ম্যাগনেসিয়াম নার্ভ সিমুলেশনে সাহায্য করে এবং গুড় আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে।

বেলের শরবত
অতিরিক্ত ঘামের সঙ্গে বেরিয়ে যাওয়া লবণ শরীরকে আরও ক্লান্ত করে দেয়। এই সময় কিন্তু বেলের শরবত কাজে আসতে পারে। কারণ, বেলের মধ্যে রয়েছে রাইবোফ্ল্যাবিন এবং ভিটামিন বি, যা ঘামলেও শরীরে শক্তির অভাব হতে দেয় না। এ ছাড়াও এর মধ্যে রয়েছে আয়রন, সোডিয়াম, পটাশিয়ামের যৌগ যা হজম শক্তিকে উন্নত করে এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।

টক দইয়ের মাঠা
পানিশূন্যতা রোধের পাশাপাশি এটি হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, পেট ফাঁপা কমায়।

গাজর বিনস ড্রিংক
ছোট ছোট টুকরো করে গাজর, বিনস, কড়াইশুঁটি, টমেটো, মিষ্টি আলু সিদ্ধ করে নিন। সিদ্ধ করার সময় নুন, গোটা গোলমরিচ সামান্য হলুদ, স্লাইস করে কাটা আদা-রসুন ছাড়া আর কিছুই দেবেন না। এবার এই স্যুপ গরম গরম খতে পারেন না চাইলে তা একটু ঠান্ডা করে ব্লেন্ডারে পিষে নিয়েও খেতে পারেন। তবে চিবিয়ে খেয়ে নিতে পারলে কিন্তু সবথেকে ভাল।

পুদিনা-লেবুর ড্রিংক
পুদিনা পাতার সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে সহজেই তৈরি করা যায় এই উপকরণটি। সঙ্গে বিট লবণ, গোল মরিচ এবং চিনিও মেশানো যেতে পারে। চাইলে কয়েক টুকরো বরফও দিতে পারেন।

টক দই-আমের শরবত
আম ও টক দই শরীর শীতলকরণের পাশাপাশি ইনসোমনিয়া কমাতে সাহায্য করে। এই গরমে যাঁদের ঘুমের সমস্যা আছে, তাঁরা খেতে পারেন।

তেঁতুল-গুড়ের মাখানো সালাদ
এটি অত্যন্ত সুস্বাদু ও উপাদেয় খাবার, যা গ্রামে খুব প্রচলিত গরমের দিনে। যেসব কৃষক এই গরমে মাঠে কাজ করেন, তাঁরা এই খাবার দুপুরের দিকে খেয়ে শরীর শীতল করেন। চাইলে আপনিও গরমে খাবারটি খেয়ে শরীর শীতল করতে পারেন।

শসা-পুদিনাপাতার সালাদ
পুদিনাপাতার নিজস্ব কুলিং প্রপার্টিজ আছে। শসায় প্রচুর পরিমাণে পানি আছে। এই গরমে দুটি মিক্স করে খেতে পারেন।

দই-শসা-ফলের সালাদ
ফলে পর্যাপ্ত ভিটামিন ও মিনারেলস থাকে। এগুলো ঘামের সঙ্গে বের হয়ে যাওয়া মিনারেলসের ঘাটতি পূরণ করে। তাই দই ও ফল হতে পারে এই গরমের খুব প্রয়োজনীয় খাবার।

অ্যালোভেরা ড্রিংক
গরম থেকে বাঁচতে এই প্রাকৃতিক উপাদান দারুণ সাহায্য করে। প্রতিদিন এক গ্লাস অ্যালোভেরা জুস পান করলে শরীর গরম সহ্য করার জন্য তৈরি হয়ে যায়।

SN
আরও পড়ুন