উৎসবের মরসুম মানেই মিষ্টির সমারোহ। রকমারি মিষ্টি না হলে যেন উৎসবই জমে না। তবে ডায়াবেটিসে ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের কাছে বা স্বাস্থ্য সচেতন অনেকের কাছেই এই মিষ্টি হয়ে ওঠে চিন্তার কারণ। চাইলেও ইচ্ছেমতো সব মিষ্টি খাওয়া যায় না। দীপাবলির মতো উৎসবেও তাই অনেকেই ইচ্ছা পূরণ করতে পারেন না। কিন্তু চিন্তার কিছু নেই। এবার দীপাবলিতে বাড়িতেই তৈরি করে নিতে পারেন সুগার ফ্রি ও হালকা স্বাদের মিষ্টি। রইল দুটি স্বাস্থ্যকর ও সহজ রেসিপি।
বাদাম বরফি

উপকরণ
- ৫০০ গ্রাম কাজু বা আমন্ড বাদাম (পছম মতো)
- পরিমাণমতো কনডেন্সড মিল্ক
- ১ কাপ ঘি
- ৪টি এলাচ।
প্রণালী
প্রথমে বাদামগুলো অন্তত ২ ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর ব্লেন্ডারে ভালো করে বেটে নিতে হবে। একটি কড়াইয়ে ঘি গরম করে তাতে বাটা বাদাম দিয়ে দিন। মাঝারি আঁচে ভালোভাবে ভাজতে থাকুন। বাদাম ভাজা হয়ে গেলে এলাচ গুঁড়ো দিয়ে দিন এবং কিছুক্ষণ নাড়তে থাকুন। এরপর প্রয়োজন মতো কনডেন্সড মিল্ক মিশিয়ে মিশ্রণটি শুকনো মন্ড হওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন। হয়ে গেলে গ্যাস বন্ধ করে দিন। একটি গ্রিজ করা থালায় মিশ্রণটি ঢেলে উপর থেকে কাঠবাদাম, পেস্তা, কিশমিশ ইত্যাদি শুকনো ফল দিয়ে গার্নিশ করুন। ঠান্ডা হলে বরফির মতো করে টুকরো কেটে পরিবেশন করুন।
বেসনের লাড্ডু

উপকরণ
- ১ কাপ বেসন
- ১ কাপ কনডেন্সড মিল্ক
- ১ কাপ ঘি
- বড় এলাচের গুঁড়ো
- কুচানো বাদাম।
প্রণালী
একটি নন-স্টিক প্যানে বেসন নিয়ে কম আঁচে ভালো করে নাড়ুন। ঘ্রাণ বেরোলে তাতে এলাচ গুঁড়ো ও কুচানো বাদাম যোগ করুন। এবার ঘি মিশিয়ে দিন। পুরো মিশ্রণটা ভালো করে মেশান। এরপর ১ কাপ কনডেন্সড মিল্কের সঙ্গে ইচ্ছা করলে সামান্য জাফরান মিশিয়ে দিতে পারেন। এই মিশ্রণটি প্যানে দিয়ে ভালো করে নাড়ুন যতক্ষণ না ঘি ছাড়তে শুরু করে। তৈরি হয়ে গেলে গ্যাস বন্ধ করে কিছুটা ঠান্ডা হতে দিন। এরপর হাতে ঘি মাখিয়ে ছোট ছোট লাড্ডুর আকারে গড়ে নিন। চাইলে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে পরিবেশন করতে পারেন। বাইরে রাখলেও কয়েকদিন ভালো থাকবে।
পূজায় সুস্বাদু পায়েস তৈরির সহজ রেসিপি
রেস্টুরেন্টের স্বাদে ক্রিম মাশরুম স্যুপ রেসিপি