ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

দুধের সঙ্গে চিয়া সিড মিশিয়ে বানিয়ে ফেলুন সুস্বাদু ৩ খাবার

আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৩০ পিএম

স্বাস্থ্যের ভাষায় চিয়া সিডকে বলা হয় সুপারফুড। দুধ-ডিমের চেয়েও বেশি প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম থাকায় এটি স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের কাছে এখন বেশ জনপ্রিয়। প্রাচীন অ্যাজটেক জাতির খাদ্য তালিকায়ও এই বীজের ব্যবহার ছিল। দেখতে অনেকটা তিলের মতো এই বীজ প্রধানত আমেরিকা ও মেক্সিকো অঞ্চলে উৎপাদিত হয়।

সুস্থ জীবনযাপনের জন্য আজকাল চিয়া সিড বা চিয়া বীজ বিশেষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রাচীন অ্যাজটেক জাতির খাদ্য তালিকায় চিয়া বীজ ছিল এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। আধুনিক পুষ্টিবিদদের মতে, দুধ-ডিমের চেয়েও বেশি প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, খনিজ ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে চিয়া বীজে, যা শরীরের পুষ্টি বজায় রাখতে সাহায্য করে।

দুধের সঙ্গে মিশিয়ে চিয়া বীজ দিয়ে তৈরি করা যায় সুস্বাদু ও পুষ্টিকর তিন ধরনের খাবার- 

চিয়া পুডিং

এক কাপ দুধে ২ থেকে ৩ চামচ চিয়া বীজ মিশিয়ে নিন। এর সঙ্গে যোগ করুন ১ চা-চামচ ভ্যানিলা এসেন্স এবং একটু ম্যাপল সিরাপ। উপরে কাটা ফল ছড়িয়ে দিন। মিশ্রণটি ফ্রিজে ২-৪ ঘণ্টা রেখে দিন, স্বাদে ভরপুর পুডিং তৈরি হবে।

চিয়া স্মুদি

এক কাপ দুধে ২ থেকে ৩ চামচ চিয়া বীজ, ঠান্ডা কলা ও বেরি জাতীয় ফল মিশিয়ে নিন। চিনির বদলে মিষ্টির জন্য ব্যবহার করুন ম্যাপল সিরাপ অথবা ১ চা-চামচ মধু। এতে তৈরি হবে পুষ্টিকর ও তাজা স্মুদি।

চিয়া মিল্ক শেক

এক কাপ দুধে ২ থেকে ৩ চামচ চিয়া বীজ ভিজিয়ে রাখুন। এরপর মিশিয়ে নিন একটি আপেল, আখরোট ও কাঠবাদাম। ম্যাপল সিরাপ বা মধু দিয়ে মিষ্টি করুন। সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর মিল্ক শেক প্রস্তুত।

দুধ হজমে সমস্যা হলে প্রাণিজ দুধের পরিবর্তে কাঠবাদামের দুধ বা সয়া মিল্ক ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়াও ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য চিনিযুক্ত পদার্থ পরিহার করা শ্রেয়।

চিয়া বীজের এই রকমারি খাবারগুলো সকালের নাস্তা কিংবা মধ্যাহ্নভোজে শরীরের পুষ্টি ও সতেজতা বাড়াতে কার্যকরী, বিশেষ করে যারা স্বাস্থ্য সচেতন তাদের জন্য।

SN
আরও পড়ুন