ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

শীতে ঠোঁট ফাটা এড়াতে যা করবেন

শুষ্ক এবং ফাটা ঠোঁটের সমস্যায় শসা ভালো প্রাকৃতিক ওষুধ। ত্বককে নরম এবং কোমল করে তুলতেও এর জুড়ি মেলা ভার।

আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫১ এএম

গোলাপি সুন্দর ঠোঁট সবারই কাম্য। তবে শীতের ঋতুতে পা ফাটার সঙ্গে নিয়মিত ঠোঁট ফাটার সমস্যাতেও ভোগেন অনেকেই। ঠোঁট ফাটার হাত থেকে বাঁচতে হলে ঠোঁটের আদ্রতা বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর্দ্রতা ধরে রাখতে হলে করণীয় কি জেনে নিন...

ঠোঁট ফাটা এড়ানোর ঘরোয়া উপায়-

নারিকেল তেল ব্যবহার: ঠোঁট ফাটা ঠেকাতে দীর্ঘদিন ধরেই নারিকেল তেলের ব্যবহার রয়েছে। এতে প্রচুর পরিমাণ ফ্যাটি অ্যাসিড আছে। যা ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করে। তাই ঠোঁটকে শুষ্কতার হাত থেকে বাঁচাতে নিয়মিত ঠোঁটে নারকেল তেল ব্যবহার করুন। ঠোঁটকে নরম ও কোমল করতে এর মধ্যে টিট্রি অয়েল বা গ্রাপিসড অয়েল যোগ করে নেওয়া যায়। যা ফাটা ঠোঁটের উপকার করবে।

মাখনের ব্যবহার: মাখন কেবল খেতেই সুস্বাদু নয়, এর রয়েছে অনেক উপকারিতাও। বিশেষ করে ফাটা ঠোঁটের সমস্যায় মাখন বেশ উপকারী। তাই সুযোগ পেলেই ঠোঁটে মাখন মাখতে পারেন। এভাবে নিয়মিত ঠোঁটে মাখন ব্যবহার করলে তা ঠোঁট ফাটার সমস্যা দূর হতে সাহায্য করবে। এছাড়া মাখন সামান্য গরম করে ঠোঁটে লাগিয়ে হাত দিয়ে হালকা ম্যাসাজ করতে পারেন। এতেও আরাম পাবেন।

শসার ব্যবহার: শুষ্ক এবং ফাটা ঠোঁটের সমস্যায় শসা ভালো প্রাকৃতিক ওষুধ। ত্বককে নরম এবং কোমল করে তুলতেও এর জুড়ি মেলা ভার। টুকরো করে কেটে নেওয়া ফ্রেশ শসা দুই থেকে তিন মিনিট ঠোঁটের উপর ঘষতে থাকুন। কিছুক্ষণ পরে আগে থেকে তৈরি করে রাখা শসার রস ঠোঁটে লাগিয়ে রেখে দিন অন্তত ১০ মিনিট। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। শসার রস না লাগিয়ে শসা চটকে নিয়ে প্যাক তৈরি করেও লাগাতে পারেন। প্রতিদিন অন্তত একবার করে এই পদ্ধতি ব্যবহার করলেই দূর হবে ফাটা ঠোঁটের সমস্যা।

মধুর ব্যবহার: রূপচর্চায় দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে মধু। এটি কাজে লাগাতে পারেন আপনার ঠোঁটের যত্নেও। ঠোঁটে নিয়মিত মধু মাখতে পারেন। মধু ফাটা ঠোঁট সারিয়ে তুলতে কাজ করে। প্রতিদিন গোসলের আগে হাতে মধু নিয়ে ম্যাসাজ করুন। ৫ থেকে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত করলে ঠোঁট ফাটার সমস্যা দূর হবে।

দুধের সর ব্যবহার: আমাদের ত্বকের যত্নে আরেকটি কার্যকরী উপাদান হতে পারে দুধের সর। প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে ঠোঁটে দুধের সর মেখে রাখতে পারেন। এই উপাদান ত্বক হাইড্রেটেড করতে দারুণ সাহায্য করে। এটি ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে। তাই এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে দূর হবে ঠোঁট ফাটার সমস্যা।

অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার: ত্বকের পরিচর্যায় এর আগেও অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করেছেন নিশ্চয়ই? এটি চুল ভালো রাখতেও কাজ করে। তবে এবার আপনি অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন ঠোঁটের যত্নে। প্রথমে অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে নারিকেল তেল মিশিয়ে নিন। এরপর ঠোঁটে লাগিয়ে নিন। এতে ঠোঁট মোলায়েম হবে ও ফাটা ত্বক নিমেষে দূর হবে।

অলিভ অয়েল ব্যবহার: শীতে আপনার ঠোঁট ভালো রাখতে অন্যতম সঙ্গী হতে পারে অলিভ অয়েল। এই তেল আপনার ঠোঁটের ফাটা সারিয়ে তুলতে কাজ করবে। সেইসঙ্গে ত্বককে হাইড্রেটেড করবে যাতে ত্বক শুষ্ক হয়া না পড়ে। নিয়মিত অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে ত্বকের অনেক সমস্যা দূর হয়।

AHA/FI
আরও পড়ুন