একটা সময় মনে করা হতো যাদের বয়স বেশি শুধুমাত্র তাদেরই ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে স্থূলতা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তনের কারণে জেন-জি বা জেনারেশন জেড এর ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি দিন দিন বেড়েই চলছে। দীর্ঘ সময় স্ক্রিনের সামনে কাটানো, অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং শরীরচর্চা না করার কারণে ওজন ও ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি অতিরিক্ত স্ট্রেস এবং অনিয়মিত ঘুম—এসব কারণই মূলত পূর্ববর্তী প্রজন্মের চেয়ে জেন-জিদেরকে ডায়াবেটিসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে ।
কেনো জেন-জিদের ঝুঁকি বেশি
বিশ্জুড়ে ডায়াবেটিসের আশঙ্কা বেড়েই চলেছে। হাই ক্যালোরি গ্রহণ, অলসতা, বাইরের অস্বাস্থ্যকর ও তৈলাক্ত খাবার খাওয়া, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব এবং মানসিক চাপের ফলে ডায়াবেটিসের প্রাদুর্ভাব অল্প বয়স থেকেই শুরু হয়ে গেছে।
আবার অনেকের পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (পিসিওএস) বা অন্যান্য হরমোনজনিত সমস্যা থাকায় ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। যার ফলে তাদের শরীরে মেদ হয়ে যায় ও লিভার-মাংসপেশীতে ফ্যাট জমে যায় এবং বি-টাইপ ইনসুলিন সেলের কার্যকারিতা তুলনামূলকভাবে কমতে থাকে।
প্রতিকার
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাসে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন। সেগুলো হলো-
- নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাস তৈরি করা
- পরিমিত পরিমাণে ঘুমানো
- স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস তৈরি করা
- স্ক্রিন টাইমের সীমিত করে ফেলা
- মানসিক চাপ না নেওয়া
পুরো বিশ্বে জেনারেশন জেডের মধ্যে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি খুব দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় ছেলে-মেয়ে হোক বা ছাত্র, কর্মজীবী—সবাইকে সতর্ক হতে হবে। প্রযুক্তি বিশ্বে আমরা দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছি ঠিকই তবে আমাদের জীবনযাপনের গুরুত্ব যেন আমরা ভুলে না যাই। কারণ নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য সংকেতগুলো হয়তো নীরব হতে পারে তবে সময়মতো প্রতিকার না নিলে তা দীর্ঘমেয়াদি ভয়ংকর রুপ নিতে পারে। তাই পূর্বেই সচেতনতা, স্বাস্থ্যকর জীবনধারা, পর্যাপ্ত ঘুম ও সঠিক খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমেই শুধু ক্ষমতাবান নয় বরং নিজের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়ক। সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া
মেদ ঝড়াতে, ওজন কমাতে কখন খাবেন গ্রিন টি
নাশতার টেবিলেই ওজন কমানোর চাবিকাঠি