ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

বর্ষায় শিশুর যত্ন

আপডেট : ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৯:০৩ এএম

বর্ষাকাল মানেই রোদ, বৃষ্টি, স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া কিংবা ভ্যাপসা গরম। শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হওয়ায় বর্ষার স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় তাদের অসুখ-বিসুখ বেড়ে যায়। ঋতু পরিবর্তনের এই সময়টাতে শিশুদের বিশেষ যত্ন নিতে হয়। বাতাসের আর্দ্রতার কারণে সংক্রামক ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস খুব সহজেই রোগ ছড়াতে পারে। ডায়রিয়া, ডেঙ্গু জ্বর, সর্দি-কাশি, টাইফয়েড, ছত্রাকজনিত ত্বকের সমস্যা ইত্যাদী রোগ বর্ষাকালেই বেশি দেখা যায়। তাই এ সময়ে শিশুদের জন্য বাড়তি যত্নের প্রয়োজন। 

শিশুর কোন বিষয়গুলোতে এ সময় খেয়াল রাখতে হবে, খবর সংযোগের পাঠকদের জন্য এই প্রতিবেদনে তা তুলে ধরা হলো-

* বর্ষায় শিশুকে নিয়মিত গোসল করাতে হবে এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া, গরম আর ঘাম মিলে শিশুদের পায়ের আঙুলের ফাঁকে, কুচকিতে, মাথায় ও চুলে যেন ছত্রাক সংক্রমিত হতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। গোসলের পানিতে ডেটল বা কোন জীবাণুনাশক দিতে পারেন।

* বর্ষায় মশার উপদ্রব অনেক বেড়ে যায়। আর এ থেকে ডেঙ্গু জ্বরসহ নানা রোগের আশঙ্কাও বেড়ে যায়। তাই এই ঋতুতে শুধু বাড়ির ভেতর তো বটেই, বাড়ির আশপাশও পরিষ্কার রাখতে হবে। এডিস মশার উপদ্রব কমাতে ফুলদানি, ফুলের টব বা পড়ে থাকা পাত্রে এক সপ্তাহের বেশি যেন পানি আটকে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। রাতে অথবা দিনে শিশু ঘুমালেই মশারি টানিয়ে দিন।

* বর্ষায় শিশুর জন্য আরামদায়ক সুতি কাপড়ের পোশাক পরতে দিন। ঘেমে গেলে সঙ্গে সঙ্গে পোশাক পরিবর্তন করে দিন। ছোট শিশুদের কাঁথা, চাদরও ধুয়ে ভালোভাবে শুকিয়ে রাখুন যেন স্যাঁতসেঁতে ভাব না থাকে।  

* এ সময় সর্দি-কাশিতে শিশুদের বেশি আক্রান্ত হতে দেখা যায়। জ্বর, মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা, গলাব্যথা, নাক দিয়ে পানি পড়া, হাঁচি-কাশি ইত্যাদি দেখা দেয়। সর্দি-কাশিতে লেবু চা, আদা ও পুদিনা পাতার রস, মধু বেশ কার্যকর। গলাব্যথা থাকলে গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে গড়গড়া করতে দিন।

* বর্ষায় শিশুদের খাবারের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। ডায়রিয়া থেকে বাঁচতে বাইরের খাবার ও বাসি খাবার খাওয়ানো যাবে না। শিশুকে ঘরে তৈরি হালকা ধরনের খাবার খাওয়াতে হবে। তেল-মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে যাওয়া উচিত।

* এ সময় বাজারে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, জামরুল, আনারসসহ নানারকম মৌসুমি ফল পাওয়া যায়। এসব ফল শিশুকে বেশি বেশি খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। খাওয়ানোর আগে কমপক্ষে এক ঘণ্টা যে কোন ফল ফরমালিন মুক্ত করতে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।

SN
আরও পড়ুন