চোখের সাজ গাঢ় হলে লিপস্টিক যে হালকা রঙের পরতে হয়, সে কথা আজকালকার আধুনিকাদের আর বলে দিতে হয় না। কিন্তু লিপস্টিক দীর্ঘক্ষণ ভাল রাখার এবং লিপস্টিক পরার পর ঠোঁট সুন্দর দেখানোর প্রস্তুতি কিন্তু নিতে হয় অনেক আগে থেকেই। আজ জানাবো লিপস্টিক পরার সঠিক পদ্ধতি।
১. ঠোঁট রাঙানোর আগে: প্রথমে পুরনো নরম টুথব্রাশ দিয়ে আলতো করে ঠোঁটে ঘষুন। এতে ঝরে যাবে মরা কোষ। তারপর লাগান লিপ বাম। ব্যবহার করতে পারেন লিপ প্রাইমার-ও। তা হলে লিপস্টিক অনেক ক্ষণ ঠিকঠাক থাকবে।

২. লিপলাইনার: প্রথমে লাইনার দিয়ে ভাল করে ঠোঁটের সীমারেখা এঁকে নিন। কিউপিডস বো বা নাকের নীচে ঠোঁটের ‘ভি’-এর মতো অংশ আঁকার সময় সতর্ক থাকুন। লিপস্টিকের সৌন্দর্য অনেকটাই নির্ভর করে ঠোঁটের কন্ট্যুরের উপর। তাই ঠোঁটের সীমারেখা আঁকার সময় সতর্ক থাকুন।যাতে ধেবড়ে না যায়। মনে রাখবেন, লিপস্টিক গাঢ় হলে লিপলাইনার হবে হাল্কা। আর হাল্কা শেডের লিপস্টিকের জন্য আদর্শ ডার্ক শেডের লিপলাইনার।
৩. লিপস্টিক: লিকুইড বা স্টিক, ম্যাট বা গ্লসি, যে রকম লিপস্টিক-ই ব্যবহার করুন না কেন, লাগাতে শুরু করুন ঠোঁটের মাঝখান থেকে। একেবারে শেষে লিপস্টিক দিন ঠোঁটের কোনার অংশ।তবে দীর্ঘ ক্ষণ লিপস্টিকের রং ভাল রাখতে লিপস্টিক পরার পরে টিসু দিয়ে বাড়তি রং তুলে দিন। যেটা মনে রাখা জরুরি, তা হল যত প্রিয়ই হোক, এক্সপায়ারি তারিখ পেরিয়ে যাওয়া লিপস্টিক ব্যবহার করবেন না।

৪. বাছাই: ঠোঁট যদি শুকনো হয়, তা হলে ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহার না করাই ভাল। বেছে নিন এমন লিপস্টিক, যা আপনার ঠোঁটকে আর্দ্র রাখবে। পাতলা, আকারে ছোট ঠোঁট হলে ব্যবহার করুন হাল্কা রং। গাঢ় শেডে ঠোঁট আরও ছোট দেখাবে। ঠোঁট চওড়া, মোটা হলে সঙ্গে রাখুন হাল্কা শেডের লিপস্টিক।
৫. লিপগ্লস: সবার শেষে কনসিলার ব্রাশ দিয়ে মুছে নিন ঠোঁটের চারপাশে বেরিয়ে থাকা লিপস্টিকের চিহ্ন। ইচ্ছে হলে, বুলিয়ে নিন লিপগ্লসের ব্রাশ। পাউট করে ছবি তোলার নেশা থাকলে গ্লস কিন্তু মাস্ট।
৬. ব্রাশ: লিপস্টিক পরার ব্রাশ হবে অ্যাঙ্গুলার বা কৌণিক। গোল ব্রাশ দিয়ে লিপস্টিক লাগালে সেই রং ভাল আসবে না।
