আপনি কি জানেন, মনখারাপ বাড়িয়ে দিতে পারে বহু রোগের আশঙ্কা। জানি বলবেন, মন ভালো রাখতে চাইলেই তো আর সব সময়ে পারা যায় না। আসলে মনের গতি প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণের সাথে জড়িয়ে আছে বেশ কিছু হরমোনের খেলা। মন ভালো রাখতে হলে নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে সেগুলোকে।
মন ভালো রাখার পিছনে মূলত চারটি হরমোনের ভূমিকা রয়েছে। এই হরমোনগুলোর ক্ষরণে ভারসাম্য থাকলে, মন ভালো থাকে। এই চারটি হরমোন হলো- ডোপেমিন,সেরোটনিন,অক্সিটসিন, অ্যান্ড্রোফিন। প্রশ্ন হলো- কী করে এই চারটি হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখবেন? চলুন জানি সেটাই।

* রোজ অন্তত ১০ থেকে ১৫ মিনিট রোদে কাটান। এতে শরীরে ভিটামিন ডি-র মাত্রা ঠিক থাকবে। তাছাড়া এর প্রভাবে সেরোটনিন এবং অ্যান্ড্রোফিন হরমোনের ভারসাম্য ঠিক থাকবে।
* পরিবারের সদস্য বা বন্ধুদের সঙ্গে হাসি ঠাট্টায় দিনের কিছুটা সময় কাটানোর চেষ্টা করুন। এতে অ্যান্ড্রোফিন ক্ষরণের মাত্রা বাড়বে। তাতে মন ভালো হবে।
* প্রিয় মানুষের সঙ্গে বা ভালোবাসার মানুষগুলোর সঙ্গে মিলেমিশে রান্না করুন। এমন খাবার বানান, যেগুলো খেতে ভালোবাসেন। রান্না এবং খাবার খাওয়া- দুটোর যৌথ আনন্দ মন ভালো করে দেবে।
* প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ মিনিট নিয়ম করে শরীরচর্চা করুন। এতে অ্যান্ড্রোফিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়বে। তাতে মন ভলো হবে।
* মন ভালো রাখার অব্যর্থ দাওয়াই মেডিটেশন। অন্য কোনো কাজ করতে না পারলেও, রোজ কিছুটা সময় ধ্যান বা মেডিটেশন করুন। এতে ডোপামিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়বে। মন ভালো হবে।

* যে ধরনের কাজ বা ঘটনা আপনাকে মানসিক চাপে রাখে, সেগুলো থেকে দূরে থাকুন। এতে মেজাজ ভালো থাকবে। মন ভালো রাখার হরমোনের ক্ষরণ বাড়বে।
* মাসাজ বা মালিশ মন ভালো রাখতে খুব কাজে দেয়। এতে চারটি হরমোনেরই ক্ষরণ বাড়ে। নিয়মিত মাসাজ করানোর চেষ্টা করুন। এতেও মন ভালো থাকবে।
* রাতে ভালো করে অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন। এতে আপনার শরীরে ডোপামিনের ক্ষরণ বাড়বে। তাতে মনখারাপ অনেকটা কমে যাবে।
* বাড়িতে পোষ্য থাকলে ওর সঙ্গে সময় কাটান। এতেও মন ভালো থাকবে। চিকিৎসকরা বলছেন, ওদের সঙ্গে সময় কাটালে অক্সিটসিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে।
* চিকিৎসকের পরামর্শে এমন কিছু খাবার বা সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন, যার ফলে এই ধরনের হরমোনগুলোর ক্ষরণ বাড়বে। ঘরোয়া খাবারের মধ্যে দই খেতে পারেন। তাতেও লাভ হবে।
