গরমে হাতে-মুখে পানি দিচ্ছেন কিছুক্ষণ পরপর। ভেজা হাত বুলাচ্ছেন ঘাড়ে- গলায়। দুইবেলা গোসল করছেন ঠাণ্ডা পানিতে। তবু যেন স্বস্তি হচ্ছেনা। শরীরকে ঠান্ডা রাখতে খাবারেও সাবধাণতা মেনে চলছেন। তারপরও ঘামের হাত থেকে নিস্কৃতি মিলছেনা। এই গরমে মাথার ঘাম বেয়ে নামছে সারা শরীরে। এর মধ্যে ঘামে জবজবে চুলের কথা ভেবে দেখেছেন? ঘামের অস্বস্তি এড়াতে অনেকে গ্রীষ্ম এলেই চুল ছেটে ছোট করে নেন। কিন্তু তাতেও ঘাম কমার নাম নেই। উল্টো চুলের গোড়ায় ঘাম জমে চ্যাটচ্যাটে ভাব ভীষণ অস্বস্তির কারণ হচ্ছে। এই গরমে চুলের জন্য একটু বিশেষ যত্ন নিতে হবে। কীভাবে? রইলো কিছু টিপস।
১. গরমে প্রতিদিন চুলে ধুয়ে ফেলতে হবে। অনেকে চুল শুকাবে না বলে বাইরে বের হওয়ার সময় চুল ভেজাতে চান না। এতে সারাদিন ভীষণ অস্বস্তি বোধ হয়। গরমের দিনে দিনে দু’বেলা গোসল করলে অবশ্যই একবার চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলবেন।

২. রোজ যাদের কাজের প্রয়োজনে বাইরে বের হতে হয় তারা নিয়মিত শ্যাম্পু করুন। একদিন পরপরও শ্যাম্পু করতে পারেন। এছাড়া বাড়ির বাইরে না বের হলেও সপ্তাহে ২-৩ বার শ্যাম্পু করুন।
৩. অতিরিক্ত তাপ চুলকে শুষ্ক ও রুক্ষ করে তোলে। তাই শ্যাম্পু করার ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই মাথায় তেল মাখুন। এটি শুষ্কভাবকে প্রতিরোধ করবে। চুলকে নরম ও স্বাস্থ্যকর করে তুলবে।
৪. শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার ব্যবহার করতে ভুলবেন না। পাশাপাশি সেরাম ব্যবহার করুন। এটি চুল পড়া প্রতিরোধ করবে এবং জট ছাড়াতে সাহায্য করবে।
৫. সপ্তাহে একদিন মাথার তালুতে টক দই মালিশ করুন। তারপর এটি ২০ মিনিটের জন্য চুলে রেখে দিন। শেষে শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে একদিন এই কাজটা করলেই চুল ও মাথার ত্বক ময়েশ্চারাইজড থাকবে এবং চুলকানি কমবে।

৬. গরমে মাথার তালুতে ঘাম বসে চুলকানির সমস্যা বাড়ায়। পাশাপাশি দুর্গন্ধ ছাড়তে থাকে। তাজা অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে একটা স্ক্রাব বানিয়ে নিন। এই স্ক্রাব মাথার ত্বকে ভাল করে মালিশ করুন। সপ্তাহে একবার এই কাজটা করলেই গরম চুল ও মাথার ত্বক পরিচ্ছন্ন ও তরতাজা থাকবে।
৭. চুলের পরিচর্যার জন্য টক দই, মেহেদি পাতা, মেথি গুঁড়া ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিটের মত রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। টক দই চুলকে ময়েশ্চারাইজ করবে। মেথি গুঁড়া খুশকি দূর করে এবং চুল ঝলমল করবে লেবুর রস। এটি অন্তত সপ্তাহে এক দিন করা উচিত।
৮. গরমে চুল ভালো রাখতে স্টাইলিং এর জন্য যেসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার হয় সেগুলো এড়িয়ে চলুন। এতে চুলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। চুলের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা হারিয়ে চুল রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায়। তাই স্ট্রেটনার, কার্ল আয়রন ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
