সাজগোজ করতে কে না ভালোবাসে! তবে সুন্দরভাবে নিজের বয়স, পরিবেশ, ত্বকের ধরণ, মুখের গঠন, পোশাক সবকিছুর সঙ্গে ঠিকঠাক মানিয়ে নিয়ে মেকআপ করতে হলে জানতে হয় অনেক কিছুই। দোকানে গিয়ে একগাদা মেকআপ সামগ্রী কিনে এলে সেজে নিলেই চলবে না। মেকআপের পরও নো মেকআপ লুকটাই আজকের ট্রেন্ড। কাজেই জানতে হবে শুরু থেকেই।
মেকআপের বেস তৈরি করতে ফাউন্ডেশনের জুড়ি নেই। অথচ বেশিরভাগ সময়ই আমরা ভুলভাল ফাউন্ডেশন কিনে ফেলি। যা পুরো মেকআপের বারোটা বাজাতে যথেষ্ট। কীভাবে বেছে নেব সঠিক ফাউন্ডেশন চলুন জেনে নেই।

* প্রথমেই নিজের সঙ্গে একটা পরীক্ষা করে নিন। ত্বকের ফাউন্ডেশন কেনার আগে নিজের আন্ডারটোন চেনা জরুরি। এ জন্য নিজের কবজির দিকে লক্ষ্য করুন। যদি কবজি ওলটালে আপনার হাতে নীল রঙের শিরা দেখা যায় তাহলে বুঝতে হবে আপনার আন্ডারটোন শীতল। আর যদি কবজির শিরাগুলো সবজেটে হয় তাহলে আন্ডারটোন হলো উষ্ণ।
* আন্ডাটোন তো জানলেন। এবার কোন টোনে কোন রং উপযোগী সেটা জানতে হবে। শীতল রঙের আন্ডারটোনে ভালো মানায় গোলাপি, লাল বা নীলঘেঁষা বেস। উষ্ণ আন্ডারটোনে হলে সোনালি বা হলুদ ঘেঁষা কোনও শেড বেছে নেবেন।
* ফাউন্ডেশন লাগাবার পর যদি দেখেন মুখটা খুব সাদা লাগছে তাহলে এক পরত ব্রোঞ্জার লাগিয়ে নেবেন। ব্রোঞ্জার বেশি হলে হাতের তালুর পেছনে ফাউন্ডেশন আর ময়েশ্চারাইজার একসঙ্গে মিশিয়ে লাগিয়ে নেবেন।
* অনেকেই দোকানে গিয়ে হাতে ফাউন্ডেশন লাগিয়ে বিচার করেন কোনটা ঠিক। মুখ আর গলার রংয়ের সঙ্গে হাতের রংয়ের একটা পার্থক্য থাকে। তাই ত্বকের রংয়ের সঙ্গে মানানসই দুই-তিনটে শেড বেছে চিকবোন থেকে আরম্ভ করে চোয়ালের হাড় পর্যন্ত সরু, ভার্টিকাল লাইন টানুন। মুখ আর গলার সঙ্গে তা মানানসই হচ্ছে কিনা বুঝতে পারবেন। চোয়ালের নিচে যেখানে গলা আর মুখ মিশেছে ঠিক সেই অংশে ফাউন্ডেশনটা দেখা না গেলে বুঝবেন পারফেক্ট ম্যাচ হয়েছে।
* কৃত্রিম আলোতে দেখে ফাউন্ডেশন বেছে নেয়া মুশকিল। ন্যাচারাল আলোতেই বেশি বোঝা যায় ফাউন্ডেশন। পছন্দসই রং বেছে নেওয়ার পর ছোট্ট একটা আয়না নিয়ে বাইরে বেরোন। সঠিক শেড হলে সেটা ত্বক মিশে যাবে, চোখে পড়বে না।
* প্রত্যেকের ত্বকেই দুই থেকে তিন শেডের ফাউন্ডেশন মানায়। কখনও কখনও একাধিক শেড মিশিয়ে তবে পারফেক্ট টোনের খোঁজ মেলে। এটা করতে করতে শিখে যাবেন। তাছাড়া ইউটিউবে আজকাল অনেক টিউটোরিয়াল ভিডিও পাওয়া যায় যেগুলো দেখে নিতে পারেন।
