শীতের সময়ে গলা ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা। শীত-গরম সব ঋতুতেই গলা ব্যথা হতে পারে। তবে শীতকালে গলা ব্যথা একটি অন্যতম সমস্যা হিসেবে দেখা দেয়। তবে এসব রোগে ভয় পাওয়ার কিছুই নেই। একটু সতর্কতা অবলম্বন করলে আপনি এ ধরনের মৌসুমী গলাব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
আসুন জেনে নেই যেসব কারণে গলাব্যথা হয়ে থাকে ও তার করণীয়..
ভাইরাস সংক্রমণের ফলে সৃষ্ট প্রদাহের কারণে গলা ব্যথা হতে পারে। এছাড়া ঠান্ডা ও স্যাঁতসেঁতে রুমে গাদাগাদি করে বসবাস করা, তাপমাত্রার হঠাৎ পরিবর্তন, অতিরিক্ত ধুলাবালি ও দূষণযুক্ত পরিবেশে কাজ করা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া ইত্যাদি কারণেও ফ্যারিনজাইটিস হতে পারে।
গলা ব্যথায় করণীয়:
গড়গড়া: হালকা গরম পানির সঙ্গে লবণ মিশিয়ে গড়গড়া করলে গলা ব্যথায় আরাম পাওয়া যায়। লবণ অ্যান্টিসেপটিকের কাজ করে এবং গরম পানি গলা থেকে কফ পরিষ্কার করতে সহায়তা করে। এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে আধা চা চামচ লবণ গুলিয়ে দিয়ে কয়েকবার গড়গড়া করলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
তরল খাবার: হাঁচি, কাশি ও গলার ভিতর প্রচুর তরল নিঃসরণের জন্য শরীর অনেকটাই পানিশুন্য হয়ে পড়ে। তাই প্রচুর পানি ও তরল খাবার খেতে হবে। তবে অবশ্যই ঠাণ্ডা পানি বর্জন করা প্রয়োজন। গলা ব্যাথায় ধোঁয়া উঠা গরম সূপ দারুণ কাজে দেয়।
মাফলার বা কাপড়: রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে গলায় একটি পাতলা মাফলার বা কাপড় হালকাভাবে পেঁচিয়ে নিলে আরাম পাওয়া যায়। বিশেষ করে শীতের সময়।
ফ্রিজের খাবার এড়িয়ে চলা ও লেবু-চা পান: গলা ব্যথা হলে ফ্রিজের ঠান্ডা খাবার খাওয়া উচিত নয়, এতে করে গলা ব্যথা বেড়ে যেতে পারে।
চিকিৎসকের পরামর্শ: শুধু গলা ব্যথাই নয়, সর্বপরি যে কোনো রোগের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়াটা জরুরি।
* উচ্চস্বরে কথা বলবেন না। কম কথা বলুন।
* গলাকে বিশ্রাম দিন।
* গলা ব্যথা সারাতে প্রাকৃতিক উপাদান, যেমন: আদা, লবঙ্গ ও মধুও উপকারী। এই সময় গরম পানির সঙ্গে লেবু বা মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
