বাড়তি ওজন কে চায় বলুন। তবু অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস, এলামেলো জীবনযাপন প্রক্রিয়া আমাদের মধ্যে স্থুলতার সমস্যা তৈরি করে। মোটা হওয়া যতো কঠিন, মোটা কমানো তার চেয়ে আরও বেশি কঠিন। মোটা কমানোর জন্য মেনে চলতে হয় বিশেষ ডায়েট, করতে হয় ঘাম ঝরানো ব্যায়াম।
আজকাল ওজন কমানোর সময় অনেকেই লাউ বা চাল কুমড়ার রস খাওয়ার উপর ভরসা করছেন। আমরা জানি, এই দুই সবজিক্যালেঅরি খুব কম। একইসঙ্গে দুটোই পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। কিন্তু লাউ না চাল কুমড়া, কোনটা খেলে বেশি উপকার পাওয়া যাবে এমন প্রশ্ন আপনার মনে আসতেই পারে। কোনটি ভালো এবং কীভাবে খেলে বেশি উপকার আসবে তা জেনে নিন।

লাউ একটি চমৎকার প্রিবায়োটিক। এটিতে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় সব অ্যামিনো অ্যাসিড এবং পুষ্টি রয়েছে। এটি একটি কার্ডিওটনিক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এতে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। যাতে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করার এবং মূত্রবর্ধক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তাই এর রসও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
অন্যদিকে চাল কুমড়ার স্বাদ কিছুটা টকমিষ্টি। এটি পেপটিক আলসার, প্রস্রাবের সংক্রমণ, ডায়াবেটিস মেলিটাস, মৃগীরোগ এবং স্নায়ুতন্ত্র সম্পর্কিত অন্যান্য রোগের চিকিৎসার জন্য চাল কুমড়া রস ব্যবহার করা যায়।
আপনি কোনটি খাবেন বা কোনটি আপনার জন্য উপকারী, তা নির্ভর করে আপনার প্রয়োজনের উপর। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী এই সবজি আপনাকে নির্বাচন করে নিতে হবে।
দুটো সবজির জুসই অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। ফলে এগুলো থেকে উপকার পেতে চাইলে দুটো সবজিকে আপনার খাদ্যাভাসে অন্তভূক্ত করতে পারেন। মাঝেমধ্যে লাউয়ের জুস খেলেন আবার কিছুদিন পর খুমড়ার জুস খেতে পারেন। তবে মনে রাখবেন যে, এগুলো অত্যধিক পরিমাণে খাবেন না। এতে উপকারের চেয়ে বেশি ক্ষতি করতে পারে।
কীভাবে বানাবেন এই জুস? তাজা লাউ বা কুমড়া ধুয়ে ছিলে ছোট টুকরা করে কেটে নিন। ব্লেন্ডারে জগে এই সবজির সঙ্গে সামান্য লবণ, ধনেপাতা, আদা কুচি, পরিমান মতো পানি দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করুন। ছেঁকে লেবুর রস মিশিয়ে নিন।
