লাইফস্টাইল ডেস্ক: ভোজনবিলাসী আমরা অনেকেই আছি যাদের মশলাযুক্ত খাবার থাকে পছন্দের তালিকার শীর্ষে। প্রতিবেলায় খাবারের সময় বিভিন্ন আইটেম তাদের চাই-ই-চাই। আর উৎসব এলে তো কথাই নেই। উৎসবের দিনগুলোতে সব বাসাতেই বাহারী রকমের খাবার তৈরি হয়। দিনের পর দিন নানা ধরণের মুখরোচক খাবারের সঙ্গে শরীরের অভ্যন্তরে জমা হয় বর্জ্য পদার্থ। শরীরকে ডিটক্স রাখতে বা শরীরের অভ্যন্তরে অপ্রয়োজনীয় বর্জ্য পদার্থ দূর করতে চাইলে এমন একটি সাধারণ মশলা আছে যা খুবই কার্যকরী। সে মশলাটি হচ্ছে হলুদ। আজ আমরা জানবো কেন হলুদ খেলে শরীর ডিটক্স থাকবে।

হলুদ অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের চমৎকার উৎস। এতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি শরীরকে প্রাকৃতিকভাবেই ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। বিপাক এবং রোগ প্রতিরোধে ক্ষমতা বাড়ায়। চলুন জেনে নেই তিনটি উপায়ে নিয়মিত খাবারের তালিকায় কীভাবে হলুদ অন্তর্ভুক্ত করবেন?
হলুদের গোল্ডেন মিল্ক: গোল্ডেন মিল্ক কেবল শরীরের হারানো পুষ্টি পূরণ করতে এবং শরীরকে ডিটক্সিফাই করতেই দুর্দান্ত নয়। এই পানীয়টি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। পাশাপাশি ত্বককে ভেতর থেকে লাবণ্যময় করে তোলে। এ পানীয়টি তৈরি করার জন্য প্রথমে দুধের সঙ্গে হলুদ এবং সামান্য গোল মরিচ গুঁড়ো দিয়ে ফুটিয়ে নিন। স্বাদের ভিন্নতা আনতে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন।

হলুদের ডিটক্স পানীয়: হলুদের ডিটক্স পানীয় বানাতে প্রথমে একটি কাচের বয়াম নিন। বয়ামটি হালকা গরম পানি দিয়ে পূর্ণ করুন। এতে কাটা আদা, লেবুর টুকরো, পুদিনা পাতা এবং দারুচিনি সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে এই পানীয়তে হলুদ দিয়ে ফুটিয়ে নিন। ব্যাস তৈরি হয়ে গেল ডিটক্স পানীয়। আপনি চাইলে সারাদিন একটু একটু করে এই পানীয়টি পান করতে পারেন। এতে পেট ফাঁপা, গলা ব্যথাসহ অ্যালার্জির সমস্যা দূর হয়।
হলুদ চা: এই চা বানাতে ১ চা চামচ গ্রেট করা তাজা হলুদ, ১/২ চা চামচ আদা কুঁচি, ১ চা চামচ মধু, ১/২ চামচ লেবুর রস লাগবে। প্রথমে ২ কাপ পানিতে হলুদ এবং আদার সঠিক পরিমাণ ফুটিয়ে নিন। এরপর সামান্য চা পাতা দিয়ে চা বানিয়ে ছেঁকে নিন। চা ছাড়াও এটা খাওয়া যায়। এতে লেবুর রস এবং মধু মিশিয়ে ভালোভাবে নাড়ুন। এ চায়ের চুমুকে আপনার শরীরের ব্যথা নিরাময় হবে। পাশাপাশি অস্বস্তি কমবে।
