ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

'লাপাত্তা' বেনজিরকে ফের দুদকে তলব

আপডেট : ০৬ জুন ২০২৪, ০৫:৩৪ পিএম

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আগামী ২৩ জুন ফের তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন ) দুর্নীতি দমন কমিশন সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন বলেন , জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদের বিষয়ে দুদক আজ তলব করলেও শুনানিতে অনুপস্থিত থাকায় আগামী ২৩ জুন তাকে ব্যক্তিগত শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। অন্যান্য অভিযুক্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে যে ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয় ,বেনজির আহমেদের ক্ষেত্রে একই রকম ব্যবস্থা নিচ্ছে দুদক।

এদিকে গত ২৮ মে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজির আহমেদকে ৬ জুন (বৃহস্পতিবার ) এবং ৯ জুন সাবেক এই আইজিপির স্ত্রী ও সন্তানদের তলব করেছিল দুদক। দুদকের একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে,দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তলব করে গত সপ্তাহে গুলশানের বাসায় চিঠি দিলেও তা গ্রহণ করেননি বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।

ইমিগ্রেশন পুলিশের একাধিক সূত্র জানায় , বেনজীর আহমেদ এবং তার পরিবারের সদস্যরা ৪ মে রাতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা হন। এরপর সেখান থেকে যান সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে। বর্তমানে তিনি সপরিবারে দুবাই অবস্থান করছেন বলেও গুঞ্জন রয়েছে।

জানা যায়, যেসকল সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তদন্ত হচ্ছে তার মধ্যে বেনজীরের পরিবারের মালিকানায় রয়েছে প্রায় ১ হাজার ৪০০ বিঘা জমির ওপর নির্মিত ইকো রিসোর্ট। এই রিসোর্টের পাশে আরও ৮০০ বিঘা জমি কিনেছে তাঁর পরিবার। এ ছাড়া পাঁচ তারকা হোটেলের ২ লাখ শেয়ারও রয়েছে তাঁদের। ঢাকার বসুন্ধরায় সাড়ে তিন হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাটও রয়েছে বেনজীরের পরিবারের। এছাড়াও গাজীপুর সদরের ভাওয়াল গড় ইউনিয়নের নলজানী গ্রামে ১৬০ বিঘা জমির ওপর ভাওয়াল রিসোর্ট গড়ে তোলা হয়েছে। এই রিসোর্ট করতে বনের ২০ বিঘা জমি দখল করা হয়েছে। এই রিসোর্টের ২৫ শতাংশের মালিকানা বেনজীর আহমেদের পরিবারের। এছাড়া দেশের বাইরে দুবাইয়ে শতকোটি টাকার হোটেল ব্যবসা, সিঙ্গাপুরে সোনার ব্যবসা এবং থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় তাঁর পরিবারের জমি রয়েছে বলে একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

এর আগে গত ২৩ এপ্রিল বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী সন্তানদের নামে অবৈধ সম্পদ থাকার অভিযোগটি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। এরপর সংস্থাটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটসহ (বিএফআইইউ) বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের লেনদেনের হিসাব চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়। পরবর্তীতে গত ২৩ মে প্রথম দফায় বেনজীর আহমেদ, তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের নামে থাকা ৩৪৫ বিঘা (১১৪ একর) জমি জব্দ (ক্রোক) এবং বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকে তাঁদের নামে থাকা ৩৩টি ব্যাংক হিসাব (অ্যাকাউন্ট) অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার আদেশ দেন আদালত। গত রোববার আরও ১১৯ দলিলে কয়েক কোটি টাকার স্থাবর সম্পদ ক্রোক এবং অস্থাবর সম্পদ ফ্রিজের আদেশ দেন আদালত।

SI/AST
আরও পড়ুন