ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক’ পেল তিন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান

পদক হিসেবে ১৮ ক্যারেট মানের ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, সম্মাননাপত্র এবং চার লাখ টাকা কিংবা সমমূল্যের ডলার দেওয়া হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে লিঙ্গুইস্টিক অলিম্পিয়াডের বিজয়ীদেরও সনদপত্র দেওয়া হয়।

আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৫৯ পিএম

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস তিন ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক’ তুলে দিয়েছেন।

শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা এ পদক তুলে দেন।

মাতৃভাষা সংরক্ষণ, পুনরুজ্জীবন ও বিকাশে ভূমিকা রাখায় এবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা জাতীয় পদক পেয়েছেন ভাষাবিজ্ঞানী ও ভাষা গবেষক অধ্যাপক আবুল মনসুর মুহম্মদ আবু মুসা।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জীবনানন্দ দাশের রচনাবলি অনুবাদ, বাংলা ভাষার আন্তর্জাতিকীকরণ এবং প্রসারে ভূমিকা রাখায় ব্রিটিশ কবি জোসেফ ডেভিড উইন্টারকে এ পদক দেওয়া হয়েছে।

বাঙালির ভাষা সংগ্রামের ইতিহাসকে কেন্দ্র করে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি প্রাপ্তিতে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করায় প্রতিষ্ঠান হিসেবে এবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা আন্তর্জাতিক পদক পেয়েছে প্যারিসে থাকা বাংলাদেশ দূতাবাস। দূতাবাসের পক্ষে প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে পদক নেন পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিন।

পদক হিসেবে ১৮ ক্যারেট মানের ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, সম্মাননাপত্র এবং চার লাখ টাকা কিংবা সমমূল্যের ডলার দেওয়া হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে লিঙ্গুইস্টিক অলিম্পিয়াডের বিজয়ীদেরও সনদপত্র দেওয়া হয়।

১৯৫২ সালে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বাঙালির সংগ্রামের ইতিহাসকে স্বীকৃতি দিতে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা দিয়েছে ইউনেস্কো। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান এবং সংস্কৃতি সংস্থাটি এ স্বীকৃতি দেয়।

মাতৃভাষার চর্চা, সংরক্ষণ, বিকাশ ও গবেষণা ক্ষেত্রে কৃতিত্বের স্বীকৃতি হিসেবে দেশি ও বিদেশি ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং সংস্থাকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা জাতীয় পদক’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা আন্তর্জাতিক পদক’ দেয় বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট।

Fj
আরও পড়ুন