হাতি সংরক্ষণে বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে: পরিবেশ উপদেষ্টা

আপডেট : ২০ আগস্ট ২০২৫, ০৬:০৩ পিএম

হাতি সংরক্ষণের জন্য আবাসস্থল রক্ষা, করিডোর মুক্তকরণ ও সচেতনতা জরুরি উল্লেখ করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন হাতি সংরক্ষণের লক্ষ্যে একটি বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এর আওতায় ৩৫০ হেক্টর জমিতে হাতির খাদ্য উপযোগী গাছের বাগান, ৫০ হেক্টর বাঁশবাগান সৃজন এবং রোপিত উদ্ভিদের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।

বুধবার (২০ আগস্ট) আগারগাঁওয়ের বন ভবনে বিশ্ব হাতি দিবসের আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন তিনি।

এবারের বিশ্ব হাতি দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল ‘মাতৃ নেতৃত্ব, স্মৃতির টান, নিরাপদ রাখি হাতির বাসস্থান’। সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, হাতি সংরক্ষণে আবাসস্থল রক্ষা, উপযুক্ত গাছ লাগানো, করিডোর মুক্ত রাখা, সঠিক জরিপ এবং মানুষ-হাতি দ্বন্দ্ব নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন।

উপদেষ্টা বলেন, ক্যাপটিভ হাতি নিয়ন্ত্রণ, গ্রামীণ জনগণকে সচেতন করা এবং হাতির জন্য টেকসই আবাসস্থল নিশ্চিত করা জরুরি।মানুষ-হাতি দ্বন্দ্ব কমাতে ১০ কিমি ইকোলোজিক্যাল বাউন্ডারিতে কাঁটাযুক্ত জীবন্ত বেড়া (বায়োফেন্সিং) নির্মাণ হবে। পাশাপাশি এলিফ্যান্ট রিজার্ভ এলাকায় এডিএস, ইআরটি ও রেসকিউ টিম গঠন, ১৬টি ট্রি টাওয়ার এবং গাজীপুর ও ডুলাহাজারায় দুটি হাতি উদ্ধার কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।

তিনি আরও বলেন, আহত হাতির চিকিৎসার জন্য সিলেট, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি ও শেরপুর অঞ্চলে অস্থায়ী সেড নির্মাণ করা হবে। পাশাপাশি মানুষ-হাতি দ্বন্দ্ব নিরসনে এনথ্রোপোজেনিক প্রভাব ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিরূপণ এবং নৃ-বৈজ্ঞানিক জরিপ পরিচালনা করা হবে। চট্টগ্রামের চুনতিতে দশ একর জায়গাজুড়ে একটি হাতি অভয়ারণ্য স্থাপন করা হবে, যেখানে পোষা হাতিদের পুনর্বাসন করা হবে।

প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. খায়রুল হাসান, বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ আলী রেজা খান, অধ্যাপক ড. এম মনিরুল এইচ খান, বন সংরক্ষক এ. এস. এম. জহির উদ্দিন আকন, ড. মোহাম্মদ আবদুল মোতালেব ও মো. ছানাউল্যা পাটওয়ারী।

NB/FJ